কারাগারের জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল রিপনের
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার জন্য ৩৯ লাখ টাকা দিয়েছিলেন শনিবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন ওরফে রেজাউল করিম ওরফে রেজা। তিনি জঙ্গি সংগঠন জেএমবির অন্যতম শুরা সদস্য।
রিপন বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার শেখেরমাড়িয়া গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে।
রবিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, কারাগারে থাকা জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার নতুন করে পরিকল্পনা করেছিল বাইরে থাকা জঙ্গি রিপন। হলি আর্টিজান হামলা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরুর পর এই পরিকল্পনা করেছিল তারা।
মুফতি মাহমুদ খান জানান, হলি আর্টিজান হামলার জন্য ৩৯ লাখ টাকা দিয়েছিলেন রিপন। তার দায়িত্ব ছিল অর্থ সংগ্রহ করা, সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করা।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সংগঠনের সিদ্ধান্তে গ্রেপ্তারকৃত এই অন্যতম শুরা সদস্য রিপনের নেতৃত্বে একটি দল ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়ে এই অর্থ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে সেগুলো হামলার মূলহোতা সরোয়ার জাহানের কাছে পাঠায়।’
তিনি আরও বলেন, বিকাশের দোকান লুট করে ৬ লাখ টাকা, সিগারেটের দোকানে লুট করে ১ লাখ এবং গাইবান্ধা থেকে এক লাখ টাকাসহ মোট আট লাখ টাকা জেএমবির আমির সারোয়ার জাহানের কাছে পৌঁছে দেয় সে। সারোয়ার জাহানের মাধ্যমে জঙ্গি আব্দুল্লাহর সঙ্গেও পরিচয় হয় তার।
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলা ঘটনায় মামলার পলাতক আসামি মামুনুর রশিদকে শনিবার গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় একটি বাস থেকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র্যাব।
র্যাবের ভাষ্য শনিবার সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হলি আর্টিজান মামলার পলাতক আসামি।
ঢাকাটাইমস/২০ জানুয়ারি/ওআর