ভোলায় কিশোরকে নির্মম নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ

ভোলা প্রতিবেদক
| আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:১৩ | প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৪

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় মুরগি চুরির অপবাদ দিয়ে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে হাত-পা বেঁধে পেটানো হয়েছে। এই নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আর স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে। ঘটনাটি গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। আর দুই মাস পর গত ১৮ জানুয়ারি ইউপি সদস্য আমজাদসহ ছয় জনকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় মামলা করেন।

গত ১৫ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে হাজারীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাত ও পায়ের মাঝে লাঠি বেঁধে বেদম পেটানো হয় ওই কিশোরকে। তাকে পেটান ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন।

ভুক্তভোগী কিশোরের মা জানান, তার ছেলে নৌকায় বাবুর্চি কাজ করে। ঘটনার দিন বাড়িতে আসলে প্রতিবেশী ছেলেরা মিলে বনভোজন করতে প্রতিবেশী কবিরের স্ত্রীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে মুরগি কেনে। কিন্তু সে মুরগী চুরি হয়েছে অভিযোগ করে আমজাদের কাছে অভিযোগ দেন ওই নারী।

এরপর আমজাদ তার দলবল নিয়ে ছেলেটিকে মেঘনা নদীর তীর থেকে ধরে আনেন। কাছের হাজারীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাত ও পায়ের মাঝে লাঠি বেঁধে দলবলসহ ঘিরে রেখে মারধর শুরু করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আমজাদ বলেন, ‘আমি মুরগি চুরির কঠিন বিচার করেছি। বিচার করতে গেলে একটু আধটু মারধর করতেই হয়।’

হাজারিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, আমরা সালিশ করে মীমাংসা করতে পারি। কিন্তু কাউকে মারার অধিকার আমাদের নেই। এ ঘটনা আমার জানা ছিল না। ঘটনার পর আমি জানতে পেরে ভিক্টিমকে (ভুক্তভোগী) থানায় অভিযোগ দিতে বলি।’

শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কিশোরকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের ভিডিওচিত্র আমার কাছে আছে। এ ঘটনায় শশিভূষণ থানায় শিশু আইন ২০১৩ এর ৭০ ধারায় শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :