মাদারীপুরে ফোর লেনের কাজে ধীরগতি, দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০১৬, ১৭:২৫ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৬, ১৭:২৬

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ফোর লেন সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। কাজের ধীরগতি আর ধুলাবালির কারণে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে সমস্যা সমাধানের অশ্বাস দিয়েছেন সড়ক বিভাগ।

জানা যায়, গত অর্থবছরে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি প্যাকেজে মাদারীপুরে শুরু হয় ফোর লেন ও টু লেনের কাজ। মাদারীপুরের মস্তফাপুর থেকে ডিসির ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত সাত কিলোমিটার ফোর লেনের কাজ এবং খোয়াজপুর পর্যন্ত চার কিলোমিটার টু লেনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি অর্থবছরে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে শেষ হয়েছে ৩০ ভাগ কাজ। শুরু থেকে দীর্ঘ ১১ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ ধীরগতিতে চলায় জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। প্রতিদিনই দুর্ভোগে পড়ছে এই রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার পথচারী, যাত্রী ও চালকরা। বৃষ্টি ও রোদে দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এ অবস্থার জন্য সড়ক বিভাগের নজরদারিকে দুষছেন সবাই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এই সড়ক ব্যবহারকারী অনেকে মুখে মাস্ক লাগিয়ে চলাচল করছে। কয়েকজন পথচারী জানান, রাস্তার সংস্কারের দিকে কারো যেন নজর নেই। রাস্তার এই অবস্থা আরও কিছুদিন থাকলে অনেকে ফুসফুসসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

এই সড়কে চলাচলকারী জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই রাস্তায় চলা মানে দোযখে যাত্রা। এই রাস্তা দিয়ে না এসে অনেকে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছায়। এমন অবস্থা আর কিছু দিন চলতে থাকলে মানুষের দুর্ভোগ আরও চরমে উঠবে।’

পথচারী শাহাদাৎ আকন বলেন, ‘এই সড়কে আসতেই ইচ্ছে করে না। জরুরি কাজ ছাড়া সড়কে আসা যেন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। কিন্তু বর্তমানে রাস্তায় এতো ধুলাবালি যে রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে পোশাক ও মাথার চুল সাদা হয়ে যায়’।

এ বিষয়ে জেলা সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী মো. আবদুর রহিম বলেন, মাদারীপুরে আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে কিছু স্থানে কাজের সমস্যা হচ্ছে। সেগুলো সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ধুলাবালির বিষয়ে তিনি বলেন, জেলার উন্নয়ন হতে হলে ছোটবড় কিছু সমস্যা হতেই পারে। তবে রাস্তায় ধুলাবালি কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১অক্টোবর/প্রতিনিধি/এমআর)