দৌলতদিয়ার দুটি ফেরিঘাট স্থানান্তর হচ্ছে

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৬, ০৮:২২

মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ থেকে

আগমী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া অংশের ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট অস্থায়ীভাবে আধা কিলোমিটার পূর্বে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পদ্মার তীব্র স্রোতে অব্যাহত নদীভাঙনের কারণে ঘাটগুলো বিলীন হয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌ মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে এবং আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই তা শেষ হবে। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমে ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তারা।

সম্প্রতি নৌ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিকরুর রেজা খানম দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শন করে গেছেন। এ সময় তিনি বলেন, এই ঘাট অস্থায়ীভাবে স্থানান্তর কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুট দিয়ে ২১ জেলার মানুষের চলাচল করে। তাদের ভোগান্তি নিরসন ও ফেরি সার্ভিস সচল রাখতে দৌলতদিয়ার দুই কিলোমিটার ভাটিতে দৌলতদিয়া ঘাট সরিয়ে নেয়ার বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে মন্ত্রণালয়। নৌ মন্ত্রণালয়ের আগামী সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।

তবে স্থায়ী সমাধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতে তিন বছর লাগবে উল্লেখ করে জিকরুর রেজা খানম বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে দৌলতদিয়ার ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট বর্তমান লঞ্চঘাট এলাকার ৬০০ গজ পুর্বে স্থানান্তর হবে। ইতিমধ্যে ওই অংশের জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দেয়া হয়েছে।  

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন পাঠান জানান, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাজবাড়ী দৌলতদিয়ার ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট স্থানান্তর করা হবে। তবে ১ ও ২ নম্বর ঘাট আগের স্থানেই থাকবে।

এই কর্মকর্তা আরো বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট নদীভাঙন থেকে রক্ষা করতে দুই কিলোমিটার ভাটিতে পুরাতন গোয়ালন্দ পয়েন্টে ঘাট স্থানান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে এগোচ্ছে নৌ মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে সংস্থাটি প্রকল্প এলাকা সমীক্ষা, যাচাই-বাচাই করছে। এতে অনুমানিক ব্যয় হবে ২০০ কোটি টাকা।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা শাখার জেনারেল ম্যানেজার শেখ মো. নাসিম জানান, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ মন্ত্রণালয় অস্থায়ী স্থানান্তরের যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ফেরি চলাচলে কোনো অসুবিধা হবে না।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোষ জানান, নদীভাঙনের ঝুঁকির মুখে থাকা দুটি ফেরিঘাট স্থানান্তের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দেয়া হয়েছে।  মাস কয়েকের মধ্যে এর কাজ শুরু হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/মোআ)