আ.লীগের শীর্ষ পদে নিভৃতচারী পীযূষ

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৬, ২১:০৭

গোলাম মোস্তফা, ঢাকাটাইমস

সরকারি দল আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পেয়েছেন পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য। যশোরের বাইরের নেতারা অনেকেই এর আগে তাঁর নামও শুনেননি। হঠাৎ করে ঐতিহ্যবাহী একটি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে নিভৃতচারী একজন নেতার স্থান করে নেয়া দৃষ্টি কেড়েছে সবার।

পীযুষ ভট্টাচার্য যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এ মানুষটি রাজনীতিতে আসেন ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতার পর প্রথম ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু তাকে যশোর-৫ আসনে মনোনয়ন দেন। তখন তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

৭৫ এর পটপরিবর্তনের পর তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেননি। তবে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে নিভৃতচারীর মতো দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়া পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য  ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে, নেত্রী আমাকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ দেয়ায় খুশি হয়েছি। এই মুহূর্তে আমার সঙ্গে অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন, তাই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। পরে অন্য এক সময় আপনার সঙ্গে কথা বলবো।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে রাজনীতিতে আসেন পীযূষ। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি রাজনীতি করেছেন। ১৯৭৩ সালে যশোর-৫ থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। এরপর নির্বাচনে অংশ না নিলেও জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন সবসময়। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের গ্রুপিং তিনি পছন্দ করতেন না কখনোই। গ্রুপিংয়ের কারণে বিভিন্ন সময় দলে তিনি নিষ্ক্রিয় থেকেছেন।

তাকে ক্লিন ইমেজের নেতা উল্লেখ করে যশোরের স্থানীয় সাংবাদিক জিয়াউল ইসলাম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ যখন কোনো সভা সমাবেশ করত তিনি দুই গ্রুপেই থাকতেন এবং তিনি দুই জায়গায় সক্রিয় ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের যে কয়জন ক্লিন ইমেজের নেতা আছেন তাদের অন্যতম পীযূষ।

দলের জন্য তার বিশাল অবদান রয়েছে উল্লেখ করে জিয়াউল বলেন, জেলা আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য তিনি সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে রবিবার বিকালে দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১৯ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীর মধ্যে সাতজনই নতুন মুখ। অন্যরা দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকলেও একমাত্র পীযূষই প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে জায়গা করে নিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/জিএম/জেবি)