অর্থ আত্মসাৎ: পাবনায় সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৬, ০১:১৬ | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৬, ০১:২০

পাবনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্যাংক চেকে টাকার অংক পরিবর্তন করে ২৮,৩০,৬৪০ টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক পাবনা প্রধান শাখার ম্যানেজারসহ তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।

সোমবার দুপুরে জিঙ্গাসাবাদ শেষে দুদক কার্যালয় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোনালী ব্যাংক পাবনা প্রধান শাখার ম্যানেজার আব্দুস সালাম, সাবেক প্রিন্সিপ্যাল অফিসার দেলোয়ার হোসেন ও একই শাখার সাবেক অফিসার অরুপ কুমার ভট্টাচার্য। 

দুদক পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক জানান, ২০১০ সালের ৩ মার্চ হতে ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলীর নামে পরিচালিত সোনালী ব্যাংক, জেলা বোর্ড শাখার এস টি ডি হিসাব নং-৩৫ থেকে টাকার সংখ্যা বাড়িয়ে জালিয়াতি করা হয়। ওই সময়ের মধ্যে ২৩টি চেকের মাধ্যমে ৩,১০,৬৪০ টাকার বিপরিতে চেকে টাকার অংক পরিবর্তন করে কথায় ও অংকে লিখে ৩১,৪০,৬৪০ টাকা উত্তোলন করেন অভিযুক্তরা। যার মধ্যে ২৮,৩০,৬৪০ টাকা পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে উত্তোলন পূর্বক আত্মসাত করেছেন। 

এব্যাপারে পাবনা থানায় ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা দায়ের হয়। মামলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাবনার তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া, সাবেক হিসাব সহকারী মাসুদ রানা ও সাবেক সোশিওলজিস্ট তাজুন্নাহার সহ সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, দেলোয়ার হোসেন ও অরুপ কুমার ভট্টাচার্যকে আসামি করা হয়। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে সোমবার দুপুরে ঐ ৩ ব্যাংক কর্মকর্তাকে দুদক কার্যালয়ে ডেকে এনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ মামলার অপর আসামি মাসুদ রানা ও মোছা: তাজুন্নাহারকে পূর্বেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জেল হাজতে রয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৬ জন আসামির মধ্যে ৫ জন গ্রেপ্তার হলেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাবনার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন। 

দুদক পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক আরো জানান, সোমবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃত ৩ ব্যাংক কর্মকর্তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)