বইঃ আমার কথা

‘ভবিষ্যতের সরকার কেমন হবে’

অনলাইন ডেস্ক
| আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:১৮ | প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:০৫

সৈয়দ আবুল হোসেন বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আমার কথা। এই বইয়ে তিনি নিজের চিন্তা, কর্মকান্ড, মূল্যবোধ, নানা অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে লিখেছেন। এটি পড়লে তাকে যারা পুরোপুরি চিনেন না তাদের সুবিধা হবে। বইটি ঢাকাটাইমস২৪ডটকম ধারাবাহিকভাবে ছাপছে। আজ পড়ুন বইটির প্রথম অধ্যায় ভবিষ্যতের সরকার কেমন হবে

সরকার, সে যে দলেরই হোক না কেন, জনগণের জন্য কাজ করে, করার চেষ্টা করে। তবে কাজের পদ্ধতি ভিন্ন। তাই কোনো নির্দিষ্ট সরকারের কাজে অনেকে সন্তুষ্ট নয়। তারা নানাভাবেই সরকারের সমালোচনা করে। অনেকে কোনো যৌক্তিক কারণ ব্যতীত সবসময় সরকারের সমালোচনায় মগ্ন থাকে। এ ধরনের লোকদের কাজই হচ্ছে সব কাজে সরকারের বিরোধিতা করা। তারা কখনও সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা করে না। সব কাজেই দোষ দেখে, দোষই দেখে শুধু। সমালোচনা করাটাই তাদের যেন একমাত্র রাজনীতিক লক্ষ্য। এমন রাজনীতি, এমন লক্ষ্য কোনো রাজনীতিক দলের লক্ষ্য হলে সে দলের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সমালোচনা থাকবে এবং তা প্রয়োজন, তবে সমালোচনার জন্য সমালোচনা কখনও কল্যাণকর হতে পারে না।

এটা স্বীকার করতে দোষ নেই, যখন যে সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছে তাদের অন্তত সরকারে টিকে থাকার জন্য ও মেয়াদ পূরণ করার জন্য হলেও কিছু ভালো কাজ করতে হয়েছে। তবে কোনো সরকারের সব কাজে সবাই তুষ্ট হতে পারে না, একজনের পক্ষে সবাইকে কখনও সন্তুষ্ট করা সম্ভবও নয়। এ কারণে নতুন করে ভাবতে হবে ভবিষ্যৎ সরকারের রূপরেখা, তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত। ভেবে দেখা আবশ্যক- বিশাল জনসংখ্যার দেশে সর্বজনীন কল্যাণ ও কর্মকা-ের প্রকৃতি কীরূপ হওয়া উচিত প্রভৃতি। মূল বিষয়ে আলোকপাত করার আগে কিছু বিষয়ে অল্পবিস্তর আলোচনা করা আবশ্যক, যা ভবিষ্যৎ সরকার সম্পর্কে আলোচনা করার সময় কাজে লাগবে। আমরা শুধু সেবা প্রদানের বিষয়ে আলোকপাত করব, রাজনীতিক পরিকাঠামোর বিষয়ে নয়। পৃথিবীর বহু দেশে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সরকার রয়েছে। তাদের সকল কাজের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জন্য উত্তম সেবা নিশ্চিত করা। রাজনীতিক পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা করলে অনেক আলোচনা করতে হবে। তাছাড়াও এটা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হবে। আমি কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না। জনকল্যাণ বহুমাত্রিক ধারায় বিবর্ধিত করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে, আমরা সে কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে চাই এবং সেটার ওপরই জোর দেওয়া হবে।

প্রথম পর্যায় লক্ষ্য। তারপর লক্ষ্য হাসিলের উপায়, প্রক্রিয়া প্রভৃতি। সর্বাগ্রে এরকম একটা পরিকল্পনা ও পন্থা বের করা আবশ্যক- একটা সরকার কেমন করে ও কীভাবে জনগণের দোরগোড়ায় যেতে পারে। সেটা কত দ্রুততম সময়ে সেটাও উপযুক্ত পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্ধারণ করতে হবে। অপেক্ষাকৃত কত কম সময়ে এবং সর্বক্ষণ সেবা দিতে রাষ্ট্রযন্ত্রসমূহ কতটা আন্তরিক এটাও বিবেচনার দাবি রাখে। মাঝে মাঝে আমি বিষয়টি নিয়ে ভাবি। কারণ, এটাই আমার প্রথম এবং প্রধান চিন্তার বিষয়। আমি যত দিন সরকারে ছিলাম- এটাই মনে করেছি যে, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই আমাদের প্রধান কাজ। আমি সেভাবে কাজ করেছি।

একটি দেশ যে পর্যায়ে থাকুক না কেন, সফল ও যোগ্য নেতৃত্ব তাকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ তার অনবদ্য উদাহরণ। যাই হোক এটা বলা প্রয়োজন যে, একটা সরকার কিংবা ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান যখন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে তা সবসময় সফল হয় এমন নয়। কারণ আমি মনে করি না, সবসময় আমাদের সব কৌশল সকল বাধা অতিক্রম করে চূড়ান্ত সফলতা লাভ করবে। তবে এরপরও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যা আমরা অর্জন করেছি এবং করছি- তা অহংকার করার মতোই। আমরা কখনও আত্মতুষ্টিতে আহ্লাদিত হয়ে উঠি না, কেবল আত্মতুষ্টিকে পরবর্তী গন্তব্যের পাথেয় হিসাবে ব্যবহার করি। উচ্চাকাক্সক্ষা বজায় রাখতে, তৎলক্ষ্যে ধাবিত হতে এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য, সবসময় আমাদের অবশ্যই উচ্চাভিলাষী হতে হবে। উচ্চাকাক্সক্ষা না-থাকলে মানুষ উপরে যেতে পারে না। আমি আবারও বলতে চাই, আমাদের সফলতার সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়েছে। আমাদের অবশ্যই পরবর্তী প্রজন্মের সরকারের দিকে নজর দিতে হবে। সেদিকে নজর দিয়েই চিন্তা করতে হবে আগামী দিনের সরকার কেমন হবে আর তার রূপরেখাই বা কেমন হবে। এটা এ মুহূর্ত থেকে ভাবতে হবে।

আগামীদিনের সরকার হবে নিবিড়ভাবে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান। এটি হবে জনকল্যাণে একান্তভাবে নিবেদিত জনগণের অতি প্রিয় একটি সরকার। এ সরকারের কোনো অংশের সঙ্গে জনগণের কোনো দূরত্ব থাকবে না। সরকার ও জনগণ পরস্পর পরস্পরের কল্যাণের জন্য সবসময় উন্মুখ হয়ে থাকবে। সরকারপ্রধানও থাকবেন সাধারণ জনগণের কাছাকাছি। নিরাপত্তা-ব্যয় অনেক কমে যাবে। এ সরকারের প্রশাসনযন্ত্র, আইন-শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে মানুষের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হবে। এ আদর্শ ও পরিকল্পনা নিয়ে ভবিষ্যৎ সরকারের রূপরেখা রচনা করতে হবে।

আগামী দিনে যে সরকার হবে- ওই ভবিষ্যৎ সরকারের সেবার দরজা সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। তা বছরব্যাপী চলবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসার জন্য সবসময় খোলা থাকে। তারা তা পারলে, সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ কেন পারবে না? তাদেরও পারতে হবে। আমরা সরকারকে একটি এয়ারলাইন্স বা বিমান পরিবহনব্যবস্থার অথবা ইমারজেন্সি কল সেন্টারের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। এয়ারলাইন্স ও ইমারেজেন্সি কল-সেন্টার ২৪ ঘণ্টা বিরতিহীনভাবে চলতে থাকে। সেবা দিয়ে থাকে প্রতিমুহূর্ত। সরকারও হবে তেমন।

ভবিষ্যতের সরকারকে, মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেক জায়গাতেই কাজের গতি কম। সে গতি বাড়াতে হবে। আমাদের সরকার তার সেবাপ্রত্যাশী জনগণকে অভ্যর্থনা জানাবে। তাদের সেবা দেবে। কোনো নাগরিক সরকারের সেবা নিতে এসে ব্যর্থ হয়ে কিংবা খারাপ ব্যবহার পেয়ে ফিরে যাবে না কিংবা চলে যাবে না বেসরকারি কোথাও সেবা নিতে। পাঁচতারকা হোটেলের পেশাগতরা যেমন অভ্যর্থনা জানায় অতিথিকে, তাদের চেয়েও অধিক বিনম্রভাবে জনগণকে, সেবাপ্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানাতে হবে। গ্রাহককে কে কত বেশি সেবা দিতে পারে এমন বেসারকরি প্রতিযোগিতা ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে। যে ব্যাংক যত বেশি উত্তম সেবা দিচ্ছে তাদের ওখানে তত বেশি গ্রাহক যাচ্ছে। আমাদের সরকারকেও সেভাবে ভাবতে হবে এবং সেভাবে কাজ করতে হবে। কারণ সেটা করতে পারলে আমাদের সরকার ব্যাংকের চেয়েও ভালো উপায়ে কার্যনির্বাহ করতে সক্ষম হবে। এটাই সরকার ও জনগণকে অভিন্নসূত্রে আবদ্ধ করে পরস্পরকে দায়বদ্ধ করে তুলতে সক্ষম হবে।

এখনকার সরকার কিছু কিছু অফিসে ওয়ানস্টপ সার্ভিসেস সেন্টার চালু করেছে। কিন্তু এটা কিছু প্রতিষ্ঠানে করলে হবে না। সর্বত্র করতে হবে। এজন্য ভবিষ্যতের সরকার হবে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত একটি জননিবেদিত সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান। সরকারের যেকোনো সেবাকেন্দ্র থেকেই নাগরিকগণ তাদের সকল সেবা সর্বোচ্চ সহানুভূতিতে গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। একজন যদি এক জায়গা থেকে সব ধরনের সেবা নিতে পারে তাহলে তার ভোগান্তি কমবে। সময়ও বাঁচবে। যৌথ-সেবাকেন্দ্র নাগরিকদের দীর্ঘ যন্ত্রণা থেকে রেহাই দিতে সক্ষম হবে। সেটা পেলে সরকারের ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে। সরকারের ওপর আস্থা বাড়লে সরকার সুদৃঢ় হবে, শক্তিশালী হবে প্রশাসন, দীর্ঘস্থায়ী হবে সার্বিক উন্নয়ন।

এমন যদি করা যায় আগামী দিনের সরকারের সেবার দরজা সপ্তাহের সাতদিন, দিনে চব্বিশ ঘণ্টা খোলা থাকবে এবং তা বছরব্যাপী চলবে। ওয়ানস্টপ সার্ভিসও থাকবে সবার জন্য। এতে কম সময়ে বেশি সেবা পাবে জনগণ।

এখন অনেক জায়গা থেকেই মানুষ জানতে পারছে সরকার তার জন্য কী কী সেবা দিচ্ছে। বিশেষ করে, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এটা অনেক সহজ করা হয়েছে। আগামীতে এটা আরও সহজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভবিষ্যতের সরকারের সেবা সবস্থানেই পাওয়া যাবে। এখন স্মার্টফোনে সব সেবার কথা জানা যায় না। তাই ভবিষ্যতে স্মার্টফোনে সরকারের সেবাসমূহকে স্থানান্তর করতে হবে। তা করা সম্ভব হলে নাগরিকরা তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বচ্ছন্দ্যে এবং স্বল্প সময়ে কম-খরচে সরকারি সেবার হালনাগাদ তথ্য মুহূর্তের মধ্যে জানতে পারবে। সেবা নেওয়াও তাদের জন্য সহজ হবে। এটা সরকারকে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে। জাতি উপভোগ করতে পারবে পূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্য এবং নির্ভয় নিরাপত্তা।

সরকার চেষ্টা করে নতুন নতুন কিছু আবিষ্কার করার। পাটের জন্ম-রহস্যও বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন। তারা আবিষ্কার করেছেন সাদা-দানার ভুট্টা। বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞান এবং জিনবিজ্ঞান বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ধানের জিন-সংক্রান্ত আবিষ্কার আর পাটের জিনোম-সংক্রান্ত আবিষ্কার বিশ্বব্যাপী প্রশংসা লাভ করেছে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন কৃষকের জন্য সহজে বহনযোগ্য ও স্বল্পমূল্যের গুটি ইউরিয়া প্রয়োগযন্ত্র বা ‘অ্যাপ্লিকেটর’, ‘ইন্টারন্যাশনাল ফার্টিলাইজার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ যা আইএফডিসির বাংলাদেশ কার্যালয়ে কর্মরত ড. ওহাব বছর দেড়েক আগে যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেন।

আমি মনে করি, ভবিষ্যতের সরকার হবে উদ্ভাবন-ক্ষমতাসম্পন্ন। তারা জনকল্যাণে প্রতিনিয়ত নতুন চিন্তা-চেতনা উপস্থাপন করবে। যেমন ২০০৯-২০১৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সরকারি সেবার মান সহজ ও উন্নত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা এমনভাবে বিস্তৃত করা হয়েছে যার সেবা পাচ্ছে কোটি কোটি মানুষ।১৭ এটা তাদের জন্য নতুন ধারণার জন্ম দিয়েছে। এটা আগামী দিনে আরও নিবিড় করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, আমাদের লক্ষ্য এমন এক পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে নাগরিকরা নতুন নতুন চিন্তা-ধারণা সহজেই উপস্থাপন করতে পারবে। তাদের সে সব চিন্তা-চেতনা পর্যালোচনা করে কেবল বাস্তবায়নযোগ্য পর্যায়গুলো গ্রহণ করা হবে। এরপর সেগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কেও অবগত হবে। জনগণের সম্মিলিত চিন্তা-চেতনা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এছাড়াও অনেক বাণিজ্যিক ধারণাও বের হবে। দেশের ভবিষ্যতের মূলধন বিনির্মাণে এসব ধারণা কাজে লাগবে। তখন ব্যবসায়-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে। সরকারও আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাও জোরদার হবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে, জনগণ পাবে তার সুফল।

ভবিষ্যতের সরকার হবে প্রযুক্তিবান্ধব, বুদ্ধিমান ও স্মার্ট। সরকার হবে প্রযুক্তিজ্ঞানে সমৃদ্ধ ও পরিবর্তনশীল। তারা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদনে সক্ষম হবে। এজন্য জনগণের একটি বড় অংশকেও তারা দক্ষ হিসাবে তৈরি করবে। তারা দক্ষ হয়ে উঠবে আধুনিক প্রযুক্তিতে এবং সক্ষম হবে জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা দিতে। এজন্য ভবিষ্যৎ সরকারকে আবশ্যিকভাবে শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।

ইতোমধ্যে আমরা বহু প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে দিয়েছি। বিগত কয়েক বছর হতে জনগণ তাদের দৈনন্দিন জীবনে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিসহ নানা প্রযুক্তিগত সুবিধা ভোগ করে আসছে। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা ভাবতে শুরু করেছি, সরকারি সেবা প্রদানের জন্য সফলতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে।

সরকার হবে জগণের আশা-ভরসা আর ভালবাসার সাগর। সরকার জাতি-ধর্ম-দল নির্বিশেষে সবার প্রতি পূর্ণ দয়া প্রদর্শন করে যাবে। কোনো জনগণের প্রতি বিরূপ হবে না, কঠোরতা দেখাবে না, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। দয়া হবে সরকারের মূলমন্ত্র। তবে কারও প্রতি দয়া যদি বৃহত্তর জনগণের অকল্যাণ ডেকে আনে- তখন সে দয়া মহা পাপ হয়ে যায়। এমন কখনও কাম্য নয়, এমন দয়া দেখানই হবে নিষ্ঠুরতা। প্রজাবৃন্দ রাজার কাছে আল্লাহর পবিত্র আমানত। প্রকৃত রাজা কখনও আমানতকে খেয়ানত করে না। যেকোনো পরিস্থিতিতে, জীবন দিয়ে হলেও আমানতের মর্যাদা রক্ষার চেষ্টা করে। তাই রাজাকে বলা হয় প্রজাগণের ত্রাণকর্তা। আমাদের ভবিষ্যতের সরকার সর্বতোভাবে প্রজাদের ত্রাণকর্তারূপে কাজ করবে- ভবিষ্যতের সরকারের কাছে এটাই আমার প্রত্যাশা, বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা।

আগামীকাল কাল থাকছে - ​‘ইতিবাচক ভাবনা সাফল্যের চাবিকাঠি’

আরও পড়ুন - ‘মাতৃভাষার প্রতি মমতা’, ‘সুখ ও শান্তি : আমাদের করণীয়’ , ‘নেতৃত্বের শক্তি’, ‘আদর্শ জীবন গঠনে মূল্যবোধ’, ‘আমার প্রাত্যহিক জীবন’​, 'আমার অনুভব'

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :