ইন্টারনেটের ধীরগতিতে পণ্ড প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:০৪ | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:০৮

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে জনগণের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন ভেস্তে গেছে খাগড়াছড়িতে। শনিবার চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার সঙ্গে এই আয়োজন করা হয়েছিল। ঘোষণা অনুযায়ী পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতেও হাজির হয়েছিলেন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু ইন্টারনেটের ধীর গতি হতাশ করেছে তাকে।

গণভবনের সঙ্গে ওই এলাকার আয়োজনের সংযোগ চালুই করা যায়নি অন্য ১০ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে। আয়োজকরা জানান, ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নসহ প্রান্তিক এলাকার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত হতে প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে যুক্ত হতে না পেরে হতাশ খাগড়াছড়িবাসী।

এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হতে না পেরে টিভি সম্প্রচার দেখানো হয়। পৌর টাউন হল প্রাঙ্গণে বিটিভির সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠান টেলিভিশন ও প্রজেক্টরের সাহায্যে আগত অতিথি ও জনগণকে দেখানোর ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে টাউন হল প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী, পৌর মেয়র রফিকুল আলমসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

পাহাড়ি এই জনপদে ইন্টারনেটের গতি নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তারযুক্ত ইন্টারনেটের পাশাপাশি তারবিহীন সংযোগেও ধীর গতির কারণে আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে খাগড়াছড়িবাসী। তাই বলে সরকারপ্রধানের অনুষ্ঠানেও এই ভোগান্তিতে পড়তে হবে, সেটা ধারণা ছিল না কারও।

অনুষ্ঠানে আগত উৎসুক জনতা খেদোক্তি প্রকাশ করে। একজন বলেন, ‘পাশ্ববর্তী জেলা রাঙামাটির মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন, আর আমরা পাইনি। টেলিভিশন থেকে দেখালে কী প্রয়োজন ছিল এতো আয়োজন করার। ঘরে বসেই তো দেখা যেত।’

সরকারি কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামের হাটহাজারি থেকে ৬৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের কাজ শুরু হলেও সেটা শেষ করা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই পরিস্থিতি বজায় থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা গা করছেন না। কর্তৃপক্ষের এমন অবহেলায় খাগড়াছড়ি জেলাবাসী উন্নত ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস/ডিডব্লিউ)