বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত রিটের আদেশ মুলতবি

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:২৭ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ ও অধিনস্থ আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতিসংক্রান্ত ১১৬ অুনচ্ছেদ বাতিল চেয়ে করা রিটের বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে মুলতবি রেখেছেন আদালত। আদালত বলেছে, রিটটি সাংবিধানিক হওয়ায় এটি আরও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ কারণে আদেশ ‘স্ট‌্যান্ড ওভার’ রাখা হল।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনকারী ইউনুছ আলী বলেন, আদালত কোনো আদেশ দেননি। রিটটি সাংবিধানিক বিষয় হওয়ায় আদালত আরও দেখতে চেয়েছে। আদালত চাইলে যে কোনো দিন আদেশ দিতে পারে।

গত ৩ নভেম্বর এই রিটটি করা হয়েছিল। ওই আবেদনের ওপর গত রবি ও সোমবার শুনানি করে আদেশের জন‌্য মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। 

রিট আবেদনে জাতীয় সংসদের স্পিকার, আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।

১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতে ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়ে সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, সংবিধানের ১১৬ অনচ্ছেদ বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ। তার এই বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে ব্যপক আলোচনার জন্ম দেন। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ১১৬ অনুচ্ছেদের ফলে অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি বদলি এবং শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে এককভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

রিটকরার বিষয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিচারক নিয়োগ, পদন্নোতি ও বদলি সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদ আইন ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। তাই এই দুই ধারা বাতিল করে বাহাত্তরের সংবিধানের ফিরে যেতে রিটটি করা হয়েছিল। 

তিনি জানান, বাহাত্তরের মূল সংবিধানে অধস্তন আদালতের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব ছিলো সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু ১৯৭৫ এর ৪র্থ সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের পরিবর্তে ওই ক্ষমতা দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া সংবিধানের ৯৫(গ) অনুচ্ছেদে আইন তৈরি সাপেক্ষে বিচারপতি নিয়োগের বিধান থাকলেও সংসদে কোনো আইন ছাড়াই দীর্ঘ ৪৫ বছর যাবত বিচারপতি নিয়োগ দিচ্ছে এটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রিট আবেদনে সংবিধানের এই ধারা বাতিল চাওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এমএবি/জেডএ)