ব্যারিস্টার ফখরুলের আপিল গ্রহণ

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের আপিল গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন ও মিজানুর রহমান।  রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলার রায় দেন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম। রায়ে সাকা চৌধুরীর আইনজীবীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী খালাস পান।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলামকে ১০ বছরকারাদণ্ড দেয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ফখরুলকে দশ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া মাহবুবুল হাসান, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী আইনজীবী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীর সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। এ চারজনকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এদিকে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ গত ২২ নভেম্বর সাত বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত মাহবুবুল হাসান আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে। একইসঙ্গে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে খালাসের রায় বাতিল করে সুবিধাজনক সাজা দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। এ আদেশ পাওয়ার ছয় সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেয় আদালত।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সাংবাদিকদের দেখান এবং স্পাইরাল বাইন্ডিং করা কপি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষে নিয়ে যান। রায় ঘোষণার পরদিন ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।

গত ২১ এপ্রিল থেকে এ মামলার বাদী ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমানসহ চার্জশিটভুক্ত ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের পর গত ৪ আগস্ট মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।

(ঢাকাটাইমস/৬ডিসেম্বর/এমএবি/এমআর)