ভোট: মানুষের কথা

উন্নয়নে খুশি বন্দরের মানুষ, দাবি শীতলক্ষ্যা সেতুর

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৯:১০

মাসুদুল হাসান রনি, নারায়ণগঞ্জ থেকে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নদীর ওপাড়ের অংশ বন্দর উপজেলার মানুষ  বিগত দিনের উন্নয়নে খুশি। মদনপুর থেকে মদনগঞ্জ পর্যন্ত  দীর্ঘ  ১৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তাটি ৮০ ফিট চওড়া  হয়েছে। অলিগলির রাস্তাগুলো হয়েছে প্রশস্ত ও আরসি ঢালাইতে  পাকা। নিয়নবাতি, ড্রেনেজ ও  পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি, নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি সরবরা্হ, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, কবরস্থান, ঈদগাহ সংস্কারসহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ যে হয়েছে তা সহজেই নজরে পড়ে।

শনিবার সারাদিন বন্দরের ২১ ,২৩ ও ২৭নং ওয়ার্ডের কুড়িপাড়া, মুরাদপুর, চাপাতলি, নবীগঞ্জ, কদমরসুল, একরামপুর, ইস্পাহানী, চৌধুরীপাড়া, বন্দর শাহী মসজিদ, সোনাকান্দার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ঢাকা টাইমসকে জানান তাদের সন্তুষ্টি ও আকাঙ্ক্ষার  কথা।

একসময় বন্দর ছিল অবহেলিত একটি জনপদের নাম। বিগত পাঁচ বছরে উন্নয়নের  ছোঁয়ায় বন্দরের চেহারা পাল্টে গেছে। আগে এমপি-মন্ত্রীরা আশ্বাস দিয়েও কোনো উন্নয়ন করেননি। কিন্তু গত পাঁচ বছর ব্যাপক উন্নয়ন করে সাবেক মেয়র আইভী  তাঁর নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করেছেন বলে জানান সাধারণ মানুষ। এজন্য বন্দরবাসী তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কুড়িপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিমল সরকার।

কুড়িপাড়া ২৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। এখানে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর  সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও তিন মামলায় অভিযুক্ত কামরুজ্জামান বাবুল।

দুপুরে কথা হয় নবীগঞ্জ বাজারের খুদে ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের সাথে। সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই তাঁর উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেন এভাবে, ‘ভাই, উন্নয়ন কাকে বলে বন্দরটা ঘুরে দেখেন। গত ৪০ বছরে যা হয়নি  এর সবটুকু হয়েছে গত পাঁচ বছরে। আমাদের এই অঞ্চলে  সামাজিক কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু  আবকাঠামোর উন্নয়নে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে। আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’

কদমরসুলের বাসিন্দা  জাকির মিয়া  উন্নয়নের প্রশংসার পাশাপাশি এ অঞ্চলের মাদক ব্যবসা নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন।

নবীগঞ্জ, কদম রসুল, একরামপুর ২৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। এখানে কাউন্সিলর প্রাথী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতা আবুল কাউসার আশা, আফজাল হোসেন ও রাহাত মিয়া। রাহাত মিয়ার নামে তিনটি মামলাই বিচারাধীন।

বন্দর রুপালী সিনেমা হলের সামনে চা স্টলে ষাটোর্ধ্ব হোমিও  ডাক্তার আবুল বাশার খান বলেন, ‘এপাড়ের মানুষের এখন একটাই দাবি বন্দর- নারায়ণগঞ্জকে সংযুক্ত করার জন্য শীতলক্ষ্যা সেতু। প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার মানুষকে নৌকা পাড়ি দিয়ে শহরে যেতে হয়। সেতু হলে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে।’

একই বক্তব্য সোনাকান্দা ডকইয়ার্ডের বাসিন্দা সেন্টু মোল্লার। আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা জন্য নারায়ণগঞ্জ-ঢাকায় যেতে হয়। সেতু হলে যাতায়াতে অনেক সুবিধা  হবে। এছাড়াও প্রতিদিন হোসায়ারী, গার্মেন্টসের কয়েক হাজার কর্মজীবী মানুষকে বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জ যেতে হয়। আশা করবো এবার নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা আমাদের দাবির প্রতি সম্মান জানাবেন।

২১নং ওয়ার্ডের বন্দর, শাহী মসজিদ, চৌধুরীপাড়া, সোনাকান্দা ঘুরে সহজেই উন্নয়ন নজরে পড়ে। এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন হান্নান সরকার, খোরশেদ আলম, রেদওয়ানুল হক মামুন, নুর মোহাম্মদ ও আব্দুর রশীদ কন্ট্রাকটর। একমাত্র আব্দুর রশীদ ছাড়া বাকি চারজনের নামে ৪/৫ টি করে মামলা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/এমএইচআর/জেবি)