মওদুদের নাইকো দুর্নীতি মামলার স্থগিতাদেশ বহাল

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:১৫ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। দুদকের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

গত ১ ডিসেম্বর শুধু ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম আট সপ্তাহ স্থগিত করেন বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে নাইকো মামলার বিচার কাজ চলছে। এ অবস্থায় ফৌজধারী কার্যবিধির দুইটি ধারায় আবেদন জানায় মওদুদ আহমদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাইকোর যে আরপিটিশন মামলা চলছে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করেন বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য। একই সঙ্গে কিছু নথিপথ দাখিলেরও আবেদন করেন তিনি।

জানা গেছে, মামলা স্থগিত চেয়ে মওদুদের করা আবেদন গত ১৬ আগস্ট বিশেষ আদালত খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার প্রধান আসামি বিএনপি হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/এমএবি/জেবি)