ভেনেজুয়েলায় মজুদকৃত ৪০ লাখ খেলনা গরিবদের বিতরণ

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:৫৬

অনলাইন ডেস্ক

ভেনেজুয়েলায় ক্রিসমাসের আগে উদ্ধারকৃত বিপুল খেলনা বাজারে কম মূল্যে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ । বেশি মুনাফার আশায় দেশটির খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্রাইসেল বিপুল পরিমাণে খেলনা মজুদ করে। গতকাল ভেনেজুয়েলা পুলিশ ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দুইজন শীর্ষকর্তাকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় প্রায় ৪০ লাখ খেলনাও উদ্ধার করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব খেলনা দরিদ্র শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। দুইটি গুদাম ঘর থেকে এসব খেলনা উদ্ধার করা হয়। এখন সেগুলো অল্প দামে বিক্রি করা হবে। যদিও ক্রাইসেলের দাবি করে, এসব খেলনা পুরনো।

খেলনা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিনের আগে দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তারা খেলনা মজুদ করে। গত সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে খুচরা বিক্রেতাদের পণ্যের মূল্য ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার এই আদেশ দিয়েছে। কিন্তু এর ফলে ব্যবসায়ীরা দেউলিয়া হওয়ার পথে।

ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্রাইসেল এসব খেলনা কিনে সেগুলো মজুদ করে পরে বাজারে ৫০ হাজারেরও বেশি গুনে বিক্রি করছিল।

সরকারি ওই দপ্তরের পক্ষ থেকে টুইট করে শিশু ও তাদের মা-বাবাদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, ‘বাচ্চারা ভয় পেয়েছে। আমরা তাদের ক্রিসমাসের আনন্দ নষ্ট হতে দেব না।’ একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে জব্দ করা লাখ লাখ খেলনার ছবিও।

ভেনেজুয়েলায় এর আগেও ক্রিসমাসের আগে পণ্যের দাম কমানোর আদেশ দেয়া হয়েছিল। সেই আদেশ কার্যকর করতে তৎপর ছিল সশস্ত্র সৈন্যরাও। সরকার ২০১৩ সালে একটি আইন করে যাতে সরকারকে পণ্যের দাম নির্ধারণের অধিকার দেয়া হয়। আটা, মাংস, রুটির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য।

দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে খুব খারাপ। একারণে সরকারের জনপ্রিয়তাও সঙ্কটের মুখে পড়েছে। দেশটির অর্থনীতি তেলসমৃদ্ধ হলেও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী। এর ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কট আরো বেড়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/জেএস)