অপহরণের ১৩ দিন পর ডোবায় মিলল যুবকের লাশ

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:৪৭

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শরীযতপুরের জাজিরায় অপহরণের ১৩ পর রুরেল (২৫) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সেনেরচর মলিককান্দি বিলের ডোবা থেকে অর্ধগলিত যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত রুরেল উপজেলার মানিকনগর শিমুলতলা গ্রামের মৃত মালেক সরদারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলীর ছেলে মনির পাঠান গান সোনার কথা বলে রুরেলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর থেকেই রুরেল নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ৮ ডিসেম্বর রুবেলের বোন তাসলিমা আক্তার মনির পাঠান, তার বাবা মোহাম্মদ আলী পাঠানসহ ১৩ জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন। এই মামলার আসামি একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনির ও ইমান উদ্দিন মাদবরের ছেলে জলিল মাদবরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৩ দিন নিখোঁজ থাকার পরে শুক্রবার সকালে উপজেলার মল্লিক কান্দি গ্রামের ফসলি জমির মাঠের একটি ডোবায় কচুরিপনা পরিষ্কার করতে গিয়ে লাশ দেখতে পান শ্রমিকরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

রুবেল নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার পর থেকে মনির পাঠান ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।

রুবেলের বোন তাছলিমা আক্তার বলেন, পাঠান পরিবারের সাথে সম্পত্তি নিয়ে আমাদের সাথে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলছে। ২০ বছর আগে তারা আমার আরেক ভাইকে হত্যা করেছে। আমার ছোট ভাই রুবেলকে হত্যা করার উদ্দ্যেশে ১৩ দিন আগে অপহরণ করে। আমরা জিডি ও মামলা করেছিলাম। তারপরও পুলিশ আমার ভাইকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি। আমার ভাইকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের বিচার চাই।

রুবেলের স্ত্রী রোকসানা আক্তার বলেন, ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফিরে আমার স্বামী খেতে বসেছিল। এমন সময় মনির পাঠানের ফোন আসে। ফোন পেয়ে সে বের হয়ে যায়। আমরা তাকে খুঁজে পেলাম না। পুলিশও তাকে খুঁজে দিতে পারল না। আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখন আমি দুই শিশু সন্তান নিয়ে কোথায় দাড়াব? কে আমাদের পরিবারের দায়িত্ব নেবে?

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, রুবেল নামে এক যুবক নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়েছিল। আমরা তাকে জীবিত খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)