কারী উবায়দুল্লাহ আর নেই

প্রকাশ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২১:৫৭ | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:০০

অনলাইন ডেস্ক

দেশের প্রখ্যাত কারী, চকবাজার শাহী মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব মাওলানা উবায়দুল্লাহ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে ধানমণ্ডিতে মেয়ের বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। কোরআনের খাদেম হিসেবে দেশ বিদেশে পরিচিত এই কারী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত আজানটি কারী উবায়দুল্লাহর। তার জাদুকরী তেলাওয়াত বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে এক সময় নিয়মিত প্রচার হতো। কারী উবায়দুল্লাহর তেলাওয়াতের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন উদ্বোধন হয়েছিল। জাতীয় সংসদের সেই উদ্বোধনী অধিবেশন থেকে নবম সংসদ পর্যন্ত তিনি নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করতেন।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, নিউমার্কেট, হোটেল শেরাটনসহ জাতীয় অসংখ্য স্থাপনার উদ্বোধন হয়েছে কারী উবায়দুল্লাহর তেলাওয়াতের মাধ্যমে। তিনি সৌদি আরব, কাতার, দুবাই, লিবিয়া, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্তত ২০-২৫টি দেশে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বারবার প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছেন বিরল মর্যাদা। সৌদি বাদশাহ ফয়সাল ও খালেদ দুইবার তাকে কোরআনের শিল্পী বা কারী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কারী উবায়দুল্লাহ ২০০০ সালে প্রথম হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এর ছয় বছর পর ২০০৬ সালে ঢাকার বাইরে একটি ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার সময় ব্রেন স্ট্রোকের শিকার হন। তখন থেকেই তিনি চলাচলের শক্তি হারিয়ে ফেলেন। দুই বছর পর তিনি আবারও ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর থেকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বাসায় অসুস্থ অবস্থায় দিনাতিপাত করছিলেন তিনি।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কোদালা ইউনিয়নে ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কারী উবায়দুল্লাহর জন্ম। ১৯৬২ সালে তিনি লালবাগ মাদরাসা থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। চকবাজার শাহী মসজিদের দীর্ঘ দিনের ইমাম ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পেছনে প্রায়ই নামাজ পড়তেন। জিয়াউর রহমানও তার কাছে কোরআন পড়া শিখেছেন। দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন দেশের প্রখ্যাত এই আলেম।

(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/জেবি)