কমলনগরে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

প্রকাশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:৪৯

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

লক্ষ্মীপুরে কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক কর্মকর্তা খালেদ মো. আলীর স্ত্রী খালেদা নার্গিস রবিবার সকালে স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।

খালেদ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কমলনগর শাখার জুনিয়র অফিসার এবং উপজেলা সদর হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা নার্গিস অভিযোগ করেন, তার স্বামী খালেদের সঙ্গে ৬ শতক জমি নিয়ে একই বাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। দলীয় ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে নিজাম উদ্দিন বিরোধপূর্ণ ওই জমি বারবার দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ অক্টোবর ওই চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ গুম ও হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তার স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা খালেদ ওই দিনই লক্ষ্মীপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন।

খালেদা নার্গিস অভিযোগ করেন, এরই মধ্যে গত নভেম্বর মাসে ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারী মো. সেলিমের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী রোকেয়া বেগমের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সেলিম তার স্ত্রীকে মারধর করলে সে (রোকেয়া) ঘরে থাকা গরম পানি দিয়ে সেলিমকে ঝলসে দেয়। ঘটনাটি সম্পর্কে এলাকার অধিকাংশ মানুষই অবগত রয়েছেন। তবে এ ঘটনাকে পুঁজি করে ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম তার স্বামীকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে তার অনুসারীকে দিয়ে মিথ্যা মামলার নাটক সাজান। কমলনগর থানায় দায়ের হওয়া ওই মামলায় অভিযোগ করা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা খালেদের সঙ্গে রোকেয়া বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক থাকায় এর প্রতিবাদ করায় খালেদ মামলার বাদী সেলিমকে (রোকেয়ার স্বামী) গরম পানি দিয়ে ঝলসে দেয়। এ মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা খালেদ গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

খালেদা নার্গিস দাবি করেন, চেয়ারম্যানের সাজানো ওই মিথ্যা মামলায় তার স্বামী এখন কারাভোগ করছেন। যে কারণে ঘটনাটির গভীর তদন্ত ও মিথ্যা মামলা থেকে তার স্বামীর মুক্তির দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ব্যাংক কর্মকর্তাকে মামলায় জড়ানোর সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্তা নেই।

তিনি আরও বলেন, খালেদ একজন চিহ্নিত বেয়াদব। এলাকার অনেক অন্যায় কাজের সঙ্গে সে জড়িত। যার উপযুক্ত জবাব সে পাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)