চট্টগ্রাম গিয়ে ছাত্রলীগকে শাসিয়ে এলেন কাদের

প্রকাশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:২৪ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:৪০

এম ইউছুপ রেজা, চট্টগ্রাম

দলে বিশেষ করে ছাত্রলীগের শৃঙ্খলা ফেরানোর মিশনে নেমেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর তা তিনি শুরু করেছেন চট্টগ্রাম থেকে। আজ রবিবার চট্টগ্রাম এসে ছাত্রলীগকে ‘ভালো’ হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, অন্যথায় সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে শাসিয়ে গেলেন তিনি।  
তিন মাসের মধ্যে শৃঙ্খলা ফেরানোর টার্গেট এবং ছয় মাসের মধ্যে দলের সহযোগী সংগঠগুলোর যেসব কমিটির সম্মেলন হয়নি সেগুলো সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির দ্বিতীয় শীর্ষ এ নেতা।

রোববার সকালে চট্টগ্রামে এই সাংগঠনিক সফরে এসেই মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় বৈঠক করেন তিনি। এ সময় সেখানে ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিউদ্দিনের ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।  

বৈঠকে ওবায়দুল কাদের নগরীতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং আ জ ম নাছিরের সঙ্গে কথা বলেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সব ওয়ার্ডে কমিটি আছে।  নেত্রী নিজেই মহানগর কমিটি দিয়েছেন।  তবে সব ওয়ার্ড সমানভাবে অ্যাকটিভ নয়।’
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো গ্যাপ নেই। যেগুলো আছে সেগুলো চিন্তার ভিন্নতা।

এ সময় ওবায়দুল কাদের ফোনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে কথা বলেন এবং শামীমকে (কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম) নিয়ে চট্টগ্রাম এসে নওফেলসহ অন্যদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য বলেন।

বৈঠকে ওবায়দুল কাদের নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণির উদ্দেশে বলেন, দল ও সরকারের সুনাম ক্ষুণœ হয় এমন কাজ থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরত রাখতে। সংশোধন না হলে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার সতর্কবার্তাও দেন এই সেতুমন্ত্রী।

স্বয়ং দলের সভাপতি ছাত্রলীগকে দেখভাল করেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি সুজনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তোমাদের তো অনেক সমস্যা। ছোট ছোট ঘটনা অথচ বড় করে মিডিয়াতে আসে। নিজেরা মারামারি করবা আর সরকারের ইমেজ ক্ষুণœ করবা, এটা আর মানতে পারব না।’

টেন্ডার ভাগাভাগিতে ছাত্রলীগ যেন অংশ নিতে না পারে সেটা দেখার জন্য নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।  

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নূর ই আলম চৌধুরী মিনা।  

এর আগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে নগরীর চশমাহিলে মহিউদ্দিনের বাসায় যান ওবায়দুল কাদের।  দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর সকাল ১০টার দিকে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/মোআ)