জেলা পরিষদ নির্বাচন : পিরোজপুর আ.লীগ দুই ভাগ

প্রকাশ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:০৯

সৈয়দ মাহ্ফুজ রহমান, পিরোজপুর

জেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরে চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দ্বিমূখী। এদের একজন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ আলম (আনারস) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ (কাপ পিরিচ)। শাহ আলমকে আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে। আর মহিউদ্দিন মহারাজ দলীয় সমর্থন না পেয়ে পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

এই নির্বাচনে পিরোজপুরে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী থাকলেও মাঠে সক্রিয় দুই প্রার্থী। নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় পিছিয়ে নেই ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে গিয়ে সমর্থন চাইছেন।

শাহ আলম পেশায় শিক্ষক। এরশাদ সরকারের আমলে তিনি জাতীয় পার্টির হয়ে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে পিরোজপুর-২ (ভা-ারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম হাওলাদার ও পিরোজপুর পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকের নেতৃত্বে দলের একটি বড় অংশ শাহ আলমের পক্ষে কাজ করছেন। তার নির্বাচনী সভা-সমাবেশ ও মতবিনিময়ে উপস্থিত থেকে প্রচার চালাচ্ছেন।

মহিউদ্দিন মহারাজ পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর এপিএস হওয়ার সুবাদে ও মন্ত্রীর উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে পিরোজপুরসদর, ভা-ারিয়া, কাউখালী, জিয়ানগর, নেছারাবাদ, মঠবাড়িয়ায় পরিচিতি আছে।

অপরদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজকে নীরব সমর্থন দিচ্ছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন আছে। তবে আউয়াল তার অবস্থান কখনও স্পষ্ট করেননি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুই জনই আওয়ামী লীগের। যিনি জিতবেন তিনিই আমাদের।

অন্যদিকে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর দল জাতীয় পার্টি  জেপি) এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিনা মহারাজকে সমর্থন দিয়েছে।

আলোচিত এই নির্বাচনে ভোটার কেবল বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করেছে। তবে এই জেলায় বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি রয়েছে। তারা কাকে সমর্থন করবেন-এই বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা আছে। জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নূরুজ্জামান বাবুল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিএনপি জেলা পরিষদ নির্বাচনে নেই, সেহেতু আমাদের সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভেবেচিন্তে তাদের নিজ ভোট প্রয়োগ করবেন।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের দলের যারা ভোটার আছেন, তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি