নাসিরনগরে হামলা: উপজেলা আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:৩৯ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ২১:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে জড়িত অভিযোগে শেখ আবদুল আহাদ নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে প্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে উপজেলা সদরের ঘোষপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আহাদ নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আহাদকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে এক যুবক পবিত্র কাবাঘরের ছবি সম্পাদনা করে ফেসবুকে তা পোস্ট করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরদিন নাসিরনগর সদর উত্তাল হয়ে পড়ে। ৩০ অক্টোবর উপজেলা সদরের কলেজ মোড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকা হয়। সমাবেশের পর ১৫টি মন্দির ভাঙচুর ও শতাধিক বাড়িতে হামলা চালানো হয়। পাশের জেলা হবিগঞ্জের মাধবপুরেও দুটি মন্দিরে হামলা হয়।বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়।

হামলার পরদিন কাজল জ্যোতি দত্ত ও নির্মল চৌধুরী নামে দুজন বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় দুটি মামলা করেন। এসব মামলায় দুই হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে ৩০০ জনকে আসামি করে আরও দুটি মামলা করেন। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন থেকে আলাদা দুটি এবং পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়।

ঘটনার তিন দিন পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক এলাকায় গিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে মালাউনরা বাড়াবাড়ি করছে। আর সাংবাদিকরা উস্কানি দিচ্ছে।’ নাসিরনগর হামলার পর মন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্য আরও ক্ষুব্ধ করে তোলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে। পরে নাসিরনগর-তাণ্ডব নিয়ে কোনো আন্দোলন না করার জন্য হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। হামলার পর বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।

(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর)