পলাশ বাজার সেতু যেন মরণ ফাঁদ

প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০৯:৪৫

লুৎফর রহমান, নরসিংদী

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মিত পলাশ বাজার এলাকার সেতুটিতে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল। বহু বছরের পুরাতন এই সেতুটির কোন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে।

ঘোড়াশাল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কো-অপারেটিভ মোড়ে শীতলক্ষ্যা নদীর পাশে অবস্থিত সেতুটি পলাশ বাজার এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র পথ। যেখানে বসবাস করছে হাজারো জনবসতি। এছাড়া উপজেলার সবচেয়ে বড় কাপড়ের হাটও এটি। বাজারের পাশে রয়েছে পলাশ পাইলট নামে একটি বিদ্যালয়। প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষার্থীসহ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করছে হাজারো মানুষ।

জানা যায়, এক সময় পলাশ বাজারে যাতায়াতে এটাই সড়ক ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ১৯৬৭ সালে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ ও ২ নং ইউনিট চালু করলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পানি নদীতে ছাড়ার জন্য কো-অপারেটিভ মোড়ের পাশ দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে শীতলক্ষ্যা নদী পর্যন্ত একটি খাল খনন করা হয়। পাশাপাশি বাজারের যাতায়াতের জন্য খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবদি সেতুটির সংস্কার, মেরামত বা পুনঃনির্মাণ না করায় চার পাশে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল। এছাড়া সেতুটির রেলিং এর অনেক স্থান ধসে গেছে।

কাপড় ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন জানান, আমার জন্মের পর থেকে সেতুটি এ অবস্থায় দেখে আসছি। বহু বছরের পুরাতন হওয়ায় এর ধারণ ক্ষমতা অনেকটা কমে গেছে। ফলে অনেক স্থানে ফাটল আর ধস দেখা দিয়েছে।

সেতুর পাশে মাংস ব্যবসায়ী ইব্রাহিম মিয়া জানান, বাজারের ব্যবসায়ীরা মালামাল পরিবহনে ভারি যানবাহন চলাচলের একমাত্র পথ হিসেবে এই সেতু ব্যবহার করছে। যানবাহন পারাপারের সময় এটি থরথর করে কেঁপে উঠে, মনে হয়- যেন এখনই ধসে যাচ্ছে।

পলাশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের ১২শ ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করছে। দ্রুত মেরামত না করলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুল আলম জানান, সেতুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করলেও এটি পৌরসভার আওতাধীন। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎকেন্দ্র চাইলেও কিছু করতে পারে না।

ঘোড়াশাল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার সাদাৎ বলেন, সেতুটির পৌরসভার আওতাধীন পড়লেও সংস্কার কিংবা পুণর্নির্মাণে পৌরসভার কোন এখতিয়ার নেই। এটি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণাধীন।

(ঢাকাটাইমস/১জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)