জোড়াতালিতে চলছে পলাশ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১১:৪৭ | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:১০

এম লুৎফর রহমান, নরসিংদী

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লি: (বিটিসিএল)-এর নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম চলছে কোন মতে জোড়াতালি দিয়ে। নানা কারণে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে চলছে এটি। প্রতিষ্ঠান থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে অনেক গ্রাহকই (ল্যান্ডফোন) ব্যবহার করা থেকে বিরত রয়েছেন। ঘোড়াশাল এক্সচেঞ্জের ১ হাজার ২৮০টি সংযোগ দেয়ার ক্যাপাসিটি থাকা সত্বেও বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে মাত্র ১৮০টি।

জানা যায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ৫১২টি সংযোগ দিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লি: (বিটিসিএল)-এর ঘোড়াশাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম। গ্রাহকদের চাহিদা বাড়ায় পরবর্তীতে নতুন করে আরো ৭৬৮টি সংযোগ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটি ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার ফলে দিনে দিনে কমতে শুরু করে গ্রাহক সংখ্যার পরিমাণ। যে কয়টি সংযোগ রয়েছে, তাতেও রয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটি। এছাড়া এক্সচেঞ্জ সচল রাখার বৈদ্যুতিক ব্যাটারিটি দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ চলে গেলে বন্ধ হয়ে যায় ল্যান্ডফোনের কার্যক্রম। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

ঘোড়াশাল পাইকসা এলাকার ফরহাদ মিয়া নামে এক গ্রাহক জানান, এ পর্যন্ত ভাল কোন সেবা পাইনি। অনেক সময় ফোনে লাইন থাকে না, আবার কল রিসিভ হওয়ার পর শো-শো শব্দ হয়। ভাবছি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে ফেলব।

ঘোড়াশাল শান্তানপাড়া এলাকার মিজান মিয়া জানান, তিনি মোবাইল সেবা থেকে টিএনটি সেবায় বেশি টাকা খরচ হওয়ায় বেশ কিছুদিন পূর্বে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা কাটার ফলে মাটির নিচে থাকা অধিকাংশ সংযোগ লাইনের ক্যাবল নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। যার ফলে উপজেলার অনেক স্থানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা চালু হবার পর থেকে মানুষ দিনদিন ল্যান্ডফোন সেবা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লি: (বিটিসিএল)-এর নরসিংদী জোন এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম এ আবু তালেব বলেন, আমাদের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী সংযোগ সচল ছিল, কিন্তু সড়কের নিচে দুই সাইড দিয়ে নেয়া সঞ্চালন লাইনের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে স্থানীয় গ্যাস সংযোগকারীরা। কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই নির্বিচারে সড়ক কাটার ফলে টেলিফোন লাইনের অনেক স্থানে কেটে ফেলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লাইনে জোড়াতালি দিয়েই কোনমতে গ্রাহক সেবা দিতে হচ্ছে। তবে দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

(ঢাকাটাইমস/৬জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)