ঝিনাইদহে বাল্যবিয়ে পড়ানোর দায়ে কাজী কারাগারে

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:১৭ | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:৫২

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গভীর রাত, কনেকনে শীত। তাই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাল্যবিয়ে দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু বিধি বাম। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই রাতে মেয়ের বাড়িতে হাজির হয়ে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে মাসুম বিল্লাহ নামে এক কাজীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ফয়লা গোরস্থান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বর ও কনের পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনরা পালিয়ে গেলেও কাজীকে আটক করে পুলিশ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাদেকুর রহমান কাজীকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কালীগঞ্জের ফয়লা গোরস্থান পাড়ার তোফাজ্জেল হোসেনের ১৩ বছরের মেয়েকে ঝিনাইদহের এক নছিমন চালকের সাথে বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। আর ওই বিয়ে পড়ানোর কাজটি করছিলেন একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে কাজী মাসুম বিল্লাহ। গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে মেয়ের বাড়িতে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেকুর রহমান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের অভিভাবক ও আত্মীয়-স্বজন পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েন কাজী। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কাজী মাসুম বিল্লাহকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেকুর রহমান জানান, বিয়ে বাড়ির আত্মীয়-স্বজন ও তাদের পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেলেও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের আওতায় কাজীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)