সাত খুনের রায়ে ‘আংশিক সন্তুষ্টি’

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:১৪ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:৫১

মোসাদ্দেক বশির ও তানিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার বিচার নিয়ে শুরু থেকেই নানা সংশয়ের কথা বলে আসছিলেন বাদীপক্ষ। একটি মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি, তার বাবা শহীদ চেয়ারম্যান বারবার বলেছিলেন ন্যয়বিচার পাওয়া নিয়ে তাদের আশঙ্কার কথা। তবে রায় ঘোষণার পর সন্তোষ জানিয়েছেন তারা। তবে বলেছেন এই সন্তুষ্টি আংশিক।

সোমবার সকাল ১০টায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক। আদালত চত্বর থেকে বের হয়েই গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিক্রিয়া নেন নিহতদের স্বজনদের।

নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটিই প্রথম র‌্যাব কর্মকর্তা ও নূর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। রায়ের পর তার প্রতিক্রিয়া জানাই ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের প্রথম প্রচেষ্টা।

বিউটি বলেন, ‘আমাদের ওপর অনেক চাপ ছিল। কিন্তু আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে গেছি। ২৬ জনের ফাঁসি হওয়ায় আমরা খুশি। তবে সব আসামির ফাঁসি হলে আরও খুশি হতাম। আমরা চাই উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল থাকবে এবং অতিসত্ত্বর তাদের ফাঁসি কার্যকর হবে।’

এই মামলার বিচার নিয়ে নানা সংশয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত রায় পাওয়ায় কৃতজ্ঞতাও জানান বিউটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিচারক এনায়েত হোসেন, এই বিচারের পক্ষে সোচ্চার আইনজীবী, নারায়ণগঞ্জের জনগণ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান বিউটি।

বিউটির মতোই তার বাবা শহীদ চেয়ারম্যানের সন্তুষ্টিও আংশিক। তিনি বলেন, ‘আমরা এই রায়ে আংশিক সন্তুষ্ট। এই মামলার এজাহারভুক্ত যারা অর্থদাতা ও পরিকল্পনাকারী চারজনকে এই মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এরা যদি আসামি থাকতো তাহলে এদেরও ফাঁসি হতো। তাহলেই আমরা পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট হতাম।’

শহীদ বলেন, ‘এই মামলা ছিল যুদ্ধের মতো। র‌্যাবের বিরুদ্ধে যেহেতু আমরা কথা বলেছি। এখনও ভয়ে আছি। আমার মেয়েকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওদেরকে যেভাবে শুইয়ে দিছি, তোদেরকে শুইয়ে দেবো।’

বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটির আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ’২৬ জনের ফাঁসি হয়েছে। বাকি নয় জনের বিভিন্ন মেয়াদের দণ্ড হয়েছে। তাদেরকে ফাঁসি হলে আমরা পরিপূর্ণ খুশি হতাম।’

নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে সুষ্মিতা সরকার বলেন, ‘আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট। আপিল বিভাগ যেন এই রায় বহাল রাখে এবং দ্রুত তা কার্যকর হয়।

বহুল প্রতীক্ষিত এই রায় ঘোষণার আগে আদালত চত্বরে ঢুকতে না পেরে গেটের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন হাজারো জনতা। রায় ঘোষণার পর তাদের প্রতিক্রিয়া ছিল উৎফুল্ল। রীতিমতো বিজয় মিছিল করে তারা। আনন্দ মিছিল হয় আদালত চত্বরেও। সেখানে মিছিল করে আইনজীবীরা।

ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/ডব্লিউবি