ঠান্ডা ও কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ১১:১১

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, পাবনা প্রতিনিধি

বিকাল গড়াতেই কনকনে ঠান্ডা, সঙ্গে রাতভর হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় বীজতলাতেই শুকিয়ে লালচে রঙ ও পচন রোগ দেখা দিয়েছে বোরো ধানের বীজতলায়। তাপমাত্রা আবারও কমলে বাড়তে পারে ক্ষতির পরিমাণ। সারা রাত কুয়াশার পরে সকালে রোদ উঠলেই ধান গাছের চারাগুলো লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা এবং পরিমাণমত সার ও পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

পাবনার নাগদহ গ্রামের কৃষক আরব আলী বলেন, শীত ও কুয়াশায় ধানের বীজতলা পচে যাচ্ছে। বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবার বীজ কিনে ধান রোপন করতে হবে। এতে তাদের খরচের পরিমাণ বাড়বে বলে জানান তিনি।

কৃষকরা বলছেন, বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ধান চারার সঙ্কট দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে বোরো ধানের চারা সংকটে অধিক দামে চারা কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, পাবনা জেলার নয়টি উপজেলায় এবার তিন হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ৫৮ হাজার ১৫৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হবে। কিন্তু হিমেল হাওয়ায় প্রচন্ড ঠান্ডা ও রাতে ঘন কুয়াশায় পাবনার এসব জমিতে বোরো ধানের বীজতলার সবুজ আভা উধাও হয়ে লালচে রং হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ  জমির চারাগাছ শুকিয়ে পচেও যাচ্ছে। নিস্তেজ চারাগাছ জমিতে বাঁচবে কিনা সন্দেহ চাষীদের। ঠা-ার মাত্রা আরও বাড়লে বীজতলায় ধানচারা মরে যাওয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে বলে আশংকা তাদের।

অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা এবং পরিমাণ মত সার ও পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালন বিভূতি ভুষণ।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএ)