‘মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে চলতি সপ্তাহ থেকেই’

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:২৫ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:৩০

শামছুজ্জামান নাঈম, মালয়েশিয়া থেকে

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক রপ্তানি শুরু হতে যাচ্ছে শিগগির। চলতি সপ্তাহ থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। মিয়ানমার ইস্যুতে ওআইসির বিশেষ সম্মেলনে যোগদান শেষে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে দুইদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর এই ঘোষণা দিলেন প্রতিমন্ত্রী।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন,  ‘ইতোমধ্যে ছয় হাজার শ্রমিকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়ন করা হয়েছে। এ মাসেই ধাপে ধাপে আরো পঞ্চাশ হাজার শ্রমিকের কাগজপত্র সত্যায়ন হবে।’

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ কার্যত আট বছর ধরে। মাঝে সরকারিভাবে শ্রমিক পাঠানো শুরু হলেও গেছে নগণ্য সংখ্যক। কিন্তু বাংলাদেশিদের মধ্যে এই দেশটিতে কাজ করার বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ আছে।

সরকারিভাবে জনশক্তি রপ্তানিতে ব্যর্থতার পর গত বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি-বেসরকারি অংশিদারত্বের মাধ্যমে (জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে) শ্রমিক পাঠানোর চুক্তি হয়েছে। সেটাও ১০ মাস হয়ে গেলো। প্রতিবারই নানা জটিলতায় আটকে যাচ্ছে জনশক্তি রপ্তানি। তবে সদ্য সমাপ্ত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে মালয়েশিয়া সরকারের একিটি প্রতিনিধি দল প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশি কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে যাওয়ার পর জটিলতা কেটে যায়।

মালয়েশিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘২০১৬-তে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ থেকে যতো জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে ২০১৭-তে শুধু মালয়েশিয়াতেই তার চেয়ে বেশি শ্রমিক রপ্তানি হয় আমরা সেই প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছি।’

প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক ওয়ালে এই বিষয়ে লিখেন, ‘মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয় ছাড়াও দিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবচেয়ে ভালো খবর হলো অনিয়মিতভাবে যারা এখানে রয়েছেন তাদেরকে বিশেষ একটি পাস ইস্যু করে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। সেই সাথে নতুন যে চুক্তিটি হবার পরেও নতুন করে মানুষ পাঠানো স্থগিত ছিলো তা তুলে নেয়া হয়েছে এবং দুইএকদিনের মধ্যেই চাহিদাপত্র পাঠানো শুরু হবে।’

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় এসে নুতন চাকরি না খোঁজার পরামর্শও দেন শাহরিয়ার আলম। তিনি লিখেন, ‘এটা করলে যে প্রক্রিয়ায় তারা আসবেন, সেই প্রক্রিয়ায় সহজেই তাদেরকে খুঁজে বের করে সরাসরি দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে। যারা আসবেন তারা তাদের চাকুরির ক্ষেত্র আগে থেকেই জেনে বুঝে আসবেন দয়া করে। গুটিকয়েক মানুষের জন্য আমরা পুরো বাজার নষ্ট হতে দিতে পারি না।’

হাইকমিশনের কর্মতৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এর আগে নতুন ভবনে স্থানন্তরিত মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘুরে দেখেন এবং কথা বলেন সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম, ডেপুটি হাইকমিশনার ফয়সাল আহমেদ, ডিফেন্স উইং হুমায়ুন কবির, লেবার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম, মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ওয়াহিদা আহমেদ, রাইচ হাসান সারোয়ার, প্রথম সচিব এসকে শাহীন, কমার্শিয়াল উইং ধনঞ্চয় কুমার দাস, প্রথম সচিব হেদায়েতুল ইসলাম, মশিউর রহমান, দ্বিতীয় সচিব তাহমিনা ইয়াসমিন, ফরিদ আহমেদ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।

ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি