কুনিও হত্যা: আরও পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:১৩ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রংপুরে চাঞ্চল্যকর জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনে সাক্ষ্য দিলেন আরও পাঁচ জন। এই মামলায় গ্রেপ্তার জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে তারা এ স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। সোমবার সকাল পৌনে দশটায় শুরু হওয়া স্বাক্ষ্যগ্রহণ চলে সোয়া এগারোটা পর্যন্ত।

মঙ্গলবার রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে এই পাঁচ জনের জেরাও করেন আসামির আইনজীবীরা।

সাক্ষ্য দেন কাউনিয়া উপজেলার আলুটারী গ্রামের কৃষক আরশাদ আলী, নুরুল ইসলাম, মাইদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ মামুন এবং আব্দুল মমিন ইসলাম।

সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামলার আট আসামির মধ্যে পাঁচ জেএমবি জঙ্গি মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, সাখাওয়াত হোসেন, লিটন এবং আবু সাঈদকে আদালতে আনা হয়।

এর আগে ১৮ ও ২৩ জানুয়ারি দুই দফায় সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী কাউনিয়া থানার তৎকালিন ওসি রেজাউল করিম, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক এবং স্থানীয় নারীসহ আরো পাঁচ সাক্ষী  ।

এই মামলার শুনানি উপলক্ষ্যে রংপুর আদালতে নিরাপত্তা ছিল কঠোর। এজলাসে আইনজীবী ছাড়া কোনো সাংবাদিককে ঢুকতে দেয়া হয়নি। সাক্ষীরা কী বলেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও জানানো হয়নি। সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্যই এটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালত সংশ্লিষ্টরা।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রতিশ চন্দ্র ভৌমিক ঢাকাটাইমসকে জানান, স্থানীয় কৃষক আরশাদ আলী, নুরুল ইসলাম, মাইদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ মামুন এবং আব্দুল মমিন ইসলাম কুনিও হত্যার ঘটনার বর্ণনা দেন আদালতে। আসামিদের কী সম্পৃক্ততা রয়েছে তাও বলেন তারা। তবে এর চেয়ে বেশি তিনি কিছু জানাননি।

 

২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারী গ্রামে জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। কুনিও সেখানে গিয়েছিলেন কৃষি নিয়ে গবেষণা করতে। তার সঙ্গে কারও বিরোধও ছিল না।

এমন একজনকে হত্যার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা তদন্ত করতে গিয়েই জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়।

আর কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী ২০০৬ সালের ৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাতে আটজনকে আসামি করা হয় এবং গ্রেপ্তার ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

এই মামলায় যে আট জনের নামে অভিযোগপত্র দিয়েছে, তাদের মধ্যে তিন জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক নজরুল ওরফে বাইক হাসান গত ২ আগস্ট ভোরে রাজশাহীর মতিহার থানার আশরাফের মোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন।

আর সাদ্দাম হোসেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নিহত হন গত ৪ জানুয়ারি রাতে। একই দিন পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় নাটের গুরু হিসেবে চিহ্নিত নুরুল ইসলাম মারজান।

সাদ্দাম রংপুরে হোশি কুনিও হত্যার পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলে আরও ১০টি জঙ্গি হামলায় জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে কুনিও হত্যা ছাড়াও পাঁচটি মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএ)