রিমান্ড শেষে কারাগারে আরাফাত সানি

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:২২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর এ আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদপুর থানার এসআই ইয়াহিয়া পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।

বুধবার সানিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনও করেন।

আদালতে শুনানিকালে সানির জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী জুয়েল আহেমেদ। এদিনও তিনি সানির সঙ্গে বাদীনির বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। একই সঙ্গে সোমবার সানির বিরুদ্ধে অস্তিত্বহীন ভুয়া কানিনামা দিয়ে যৌতুক আইনের মামলা করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বাদিনী নাসরিনের সঙ্গে সানির বিয়ে সত্য বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বাদীর সঙ্গে সানির বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু সানির পরিবার বিয়ে মেনে না নেয়ায় সানি তুলে নেয়নি বলে জানান।

এর আগে রবিবার সানিকে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিন বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বাদিনী নাসরিন সুলতানা গত ৫ জানুয়ারি সানির বিরুদ্ধে মোহাম্মাদপুর ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, সাত বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের ঘনিষ্ঠতা হয় এবং এক পর্যায়ে তারা দুজন দুজনকে ভালোবাসেন। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর দুই পক্ষের অভিভাবকদের না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের তিন বছরেও সানী দুই পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে নাসরিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নিয়ে যাননি। বারবার এ বিষয়ে চাপ দিলেও তিনি কালক্ষেপণ করেন। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নাসরিন সুলতানাকে বিয়ে দেয়ার জন্য তার পরিবার পাত্র খোঁজা শুরু করে। ওই সময় তাদের বিয়ের বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে তুলে নেয়া অথবা বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আরাফাত সানীকে অনুরোধ জানান নাসরিন। এরপর গত বছর ১২ জুন রাতে ১টা ৩৫ মিনিটে নাসরিন সুলতানা (Nasrin Sultana) নামের একটি ফেসবুক ফেইক আইডি থেকে নাসরিনের আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। ওই ফেইক আইডিটি আরাফাত সানির ব্যক্তিগত মোবাইলফোন নম্বর থেকে খোলা হয়েছিল এবং ওই ছবিগুলো শুধু সানির কাছেই ছিল।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/আরজেড/জেবি)