সাত দিনের জন্য বাড়ি ফিরলেন খাদিজা

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:২৯ | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:৪৩

সিলেট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় চাপাতির কোপে আহত হয়ে চার মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর নিজ বাড়িতে ফিরলেন সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার।  মাত্র এক সপ্তাহের জন্য তিনি বাড়িতে অবস্থান করবেন। এরপর আবার তাকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হবে।

বুধবার বেলা আড়াইটায় উড়োজাহাজে করে সিলেটের এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে সেখান থেকে সিলেট সদর উপজেলার আউশা গ্রামে নিজ বাড়িতে যান। খাদিজার সঙ্গে তাঁর বড় ভাই শাহীন আহমদ ছিলেন। বিমানবন্দরে তাঁর বাবা মাসুক মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।

বিমানবন্দরে খাদিজার ভাই শাহীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, এক সপ্তাহের জন্য তাঁকে সিলেট নিয়ে আসা হয়েছে। পরে আবারও চিকিৎসার জন্য সাভারের সিআরপিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

গত বছরের ৩ অক্টোবর বিকেলে এমসি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে বিএ (পাস) পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন বদরুল নামে এক ব্যক্তি। তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পরপরই জনতা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে দেন। সংকটাপন্ন অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর খাদিজার অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৮ নভেম্বর তাঁকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আজ তাঁকে সিলেট নিয়ে আসা হয়।

খাদিজার ওপর হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলাটি সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন। এ মামলার খাদিজার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য রয়েছে।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে খাদিজার ভাই বলেন, খাদিজার আদালতে হাজির হওয়ার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আদালত সূত্র জানায়, খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। গত ৮ নভেম্বর আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১৫ নভেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।

(ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)