ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর: দুই ভাইসহ মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:২৬

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরু, তার দুই ভাইসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে বিজয় মাহমুদের চাচা এরশাদ আলী বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় শাহজাদপুর পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরু, তার ছোট ভাই পিন্টু-মিন্টুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে মেয়রের দুই ছোট ভাই পিন্টু ও মিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে। জব্দ করা হয় মেয়রের ব্যবহৃত শর্টগানটি। 

শুক্রবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই পিন্টু শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে পিটিয়ে দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ মেয়রের বাসা থেকে তার ভাই পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিকেলে শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি রহিম তার শ্যালক ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদকে মারপিটের ঘটনায় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেন। মিছিলটি মেয়রের বাসার সামনে পৌঁছলে কয়েকজন ব্যক্তি মেয়রের বাসা লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। এ সময় পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর ভাই পিন্টু ও তার সমর্থকদের সঙ্গে মিছিলকারীদের সংঘর্ষ হয়।

একপর্যায়ে মেয়র তার ব্যক্তিগত শর্টগান থেকে গুলিবর্ষণ করলে দুই পক্ষের মধ্যে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল মাথায় ও মুখে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুক্রবার সাংবাদিক শিমুলকে বগুড়া থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে বেলা  একটার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় এলাকায় তিনি মারা যান।

(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/মোআ)