হোসিও কোনি হত্যা মামলার সাক্ষ্য শেষ পর্যায়ে

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২০:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রংপুরের কাউনিয়ায় জাপানি নাগরিক হোসিও কোনি হত্যা মামলায় রবিবার আরো আট সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সোমবার পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আদালত আদেশ দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন রংপুরের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক।

রবিবার আট সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন রংপুর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার। এদিন একজন বিচারক, মামলায় দুই বাদি ও তদন্তকারী পুলিশ কর্তকর্তাসহ আটজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। বেলা পৌনে ১১টায় শুরু হওয়া সাক্ষ্য গ্রহণ দুই দফা বিরতি দিয়ে চলে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত।

রোববার সাক্ষ্য দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আলম, মামলার বাদি (বর্তমানে কোতোয়ালি থানার ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলাম, সিআইডির ব্যালেস্টিক এক্সপার্ট জামাল উদ্দিন, তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, কাউনিয়া থানার এএসআই সবুজ সরকার, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আখতারুজ্জামান, সরদার সিরাজুল ইসলাম ও সোলায়মান ইসলাম।

পিপি জানান, মামলাটির ৫৭ সাক্ষী থেকে ১ জন বাড়িয়ে ৫৮ করা হয়েছে। এই মামলায় এ নিয়ে ৫৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, মামলার আগের ৫৭ সাক্ষীর মধ্যে একজন অন্য মামলার আসামি, একজন বিদেশে এবং একজন পলাতক। তারা সাক্ষ্য দেবেন না। সব মিলিয়ে সোমবার আদালত মামলাটির পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আদেশ দেবেন।
রবিবার সাক্ষ্য গ্রহণের আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি জেএমবির উত্তরাঞ্চলের স্কোয়াড লিডার মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেনকে আদালতে আনা হয়।
চার্জশিটভুক্ত আটজনের মধ্যে রাজশাহীতে নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান ও ঢাকায় সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথী আহসান উল্লাহ আনছারী পলাতক।  
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর মহানগরীর উপকণ্ঠ কাউনিয়া উপজেলার কাচু আলুটারী এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন হোসিও কোনি।

(ঢাকাটাইমস/৫ফেব্রুয়ারি/মোআ)