৪৬ বারেও জমা পড়ল না সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:৩০ | আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:০০

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আরেক দফা পিছিয়েছে। আগামী ২১ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ধার্য করেছে আদালত। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪৬টি ধার্য তারিখ অতিবাহিত হয়েছে।

বুধবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম এ নতুন তারিখ ধার্য করেন।

২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রুনির ভাই নওশের রোমান।

ঘটনার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন দিয়েছিলেন ৪৮ ঘণ্টার প্রতিশ্রুতি। এর মধ্যেই খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এ সময় শেষ হওয়ার আগেই তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছিলেন, ‘তদন্তে প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে’। কিন্তু সেই ৪৮ ঘণ্টার অপেক্ষা শেষ হয়নি পাঁচ বছরেও।

আদালতের নির্দেশে র‌্যাবের কাছে তদন্ত হস্তান্তরের পর ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে পাঁচজন রফিকুল, বকুল, সাইদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান ওরফে অরুণকে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র রায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই বছর আগস্টে গ্রেপ্তার করে ডিবি ও র‌্যাব। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো ছাড়াও সাগর-রুনির পারিবারিক বন্ধু তানভীর ও বাসার নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পালকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কিন্তু দফায় দফায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। পরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাগর-রুনির বাসার পলাতক দারোয়ান এনামুল হক ওরফে হুমায়ূনকে ধরতে পারলে হত্যাকাণ্ডের রহস্যজট খুলে যাবে। এজন্য এনামুলকে ধরতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হলেও খোলেনি রহস্যজট। এখনো অধরাই থেকে গেছে প্রকৃত খুনিরা।

পাঁচ বছরেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কোনো কূলকিনারা না হওয়ায় হতাশ নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং সাংবাদিক সমাজ। এই হতাশার মধ্যেই দুই দিন পর পূর্ণ হচ্ছে দেশ-বিদেশে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর।

(ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/আরজেড/জেবি)