আখেরি মোনাজাতে খুলনায় ইজতেমা শেষ

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:৫৮ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:২৬

খুলনা ব্যুরো প্রধান, ঢাকাটাইমস

লাখো মুসল্লির আল্লাহু আকবর ধ্বনি আর চোখের পানিতে আল্লাহর দরবারে জীবনের গুনাহ মাফের ফরিয়াদ জানানোর মধ্যদিয়ে শেষ হলো খুলনা জেলা ইজতেমার আখেরি।

মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত চেয়ে দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।

শনিবার বেলা ১১টার পর আখেরি মোনাজাত শুরুর কথা থাকলেও শুরু হয় দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে।

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে জিরোপয়েন্টে ইজতেমা ময়দান থেকে এ মোনাজাতে সৃষ্টিকর্তার কাছে বিশ্ব উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

আখেরি মোনাজাত চলাকালে ইজতেমাস্থল ও আশপাশ এলাকায় ‘আমিন’-‘আমিন’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

সকাল ৯টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে আল্লাহর প্রতি নত হয়ে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মুসল্লিরা মনের আকুতির কথা জানান।

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার পর খুলনা জেলা তাবলিগ জামাত এ বৃহৎ ইজতেমার আয়োজন করে।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া তিন দিনের এ ইজতেমা শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো। এতে ২৫টি দেশের মুসল্লিরা অংশ গ্রহণ করেন।

আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের শূরা সাথী মাওলানা ফারুক হুসাইন।

এ সময় ইজতেমা ময়দানে সঙ্গে একত্ব হয়ে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে, দোকানের বেঞ্চে বসে, অলি-গলি, বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে যে যেখানে ছিলেন, সেখান থেকেই মোনাজাতে শরিক হন।

ভোর থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখ লাখ মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে।

এদিকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে খুলনা মহানগরী ছিল প্রায় ফাঁকা। মোনাজাত উপলক্ষে গল্লামারী, জিরোপয়েন্ট, রূপসা সেতুর বাইপাস সড়ক ও চারপাশের এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু ছিল বন্ধ।

ইজতেমায় অংশ নেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, স্থানীয় সাংসদ, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ নিজ গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা শুরু করে। আগে যাওয়ার জন্য মুসল্লিরা তাড়াহুড়ো করতে শুরু করে। এতে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক এবং সংযোগ সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জন ও যানজট।

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়। ইজতেমা ময়দান এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চারপাশ এবং বাইরে সিসি টিভির আওতায় আনা হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ও র‌্যাব পৃথক পৃথক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলে। র‌্যাবের দুটি টহল গাড়ি ও ময়দানে দুটি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/এসএএইচ/এলএ)