মৃতকে জীবিত বলে প্রতিবেদন: এসপির নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৩৯ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:০০

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক দেখিয়ে প্রতিবেদন দেয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

বিচারপতি শাহীনূর ইসলামের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে বৃহস্পতিবার বিষয়টির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২টায় এ বিষয়ে আদেশ দেবেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা ঢাকাটাইমসকে বলেন, এসপি আদালতে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে প্রসিকিউশন টিমের সবাই উপস্থিত ছিলাম। এ ব্যাপারে দুপুর ১২টায় আদেশ দেবেন আদালত।

এর আগে সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিনের মাধ্যমে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চান এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

গত ১১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনাল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রসিকিউশনকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গত ১০ জানুয়ারি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে’ শিরোনামে প্রচার করা একটি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের নজরে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের সাত মাস আগেই মারা গেছেন ওয়াজ উদ্দিন।

একাত্তরের হত্যা, গণহত্যা মামলার আসামি ওয়াজ উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের অক্টোবরে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা। শুরু থেকেই পলাতক দেখিয়ে তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়।

বিষয়টি নজরে আসলে গত ৩১ জানুয়ারি ময়মনসিংহের এসপিকে ১৬ ফেব্রুয়ারি হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শককেও ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে তারপক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া মৃত্যু সনদে দেখা যায়, প্রায় ৮ মাস আগে ২০১৬ সালের ৭ মে ওয়াজ উদ্দিন মারা গেছেন। তার মৃত্যুর ৯ দিন পর তাকে আদালতে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আদেশ আসে ট্রাইব্যুনাল থেকে। পরে তাকে হাজির করতে দুইটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এই মামলার অপর আসামি রিয়াজ উদ্দিন ফকির কারাগারে আছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এমএবি/এমআর)