মেহেরপুরে পুলিশ সদস্যের ‘আত্মহত্যা’

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:১৬

মেহেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় কামাল হোসেন (৩০) নামে এক পুলিশ সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিষপানে নাকি অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনে মারা গেছেন এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, পয়জন জনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে চিকিৎসক ও পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কামাল হোসেন কুষ্টিয়া জেলার আড়ুয়াপাড়ার শহিদুল রেজা চৌধুরীর ছেলে। তিনি জেলার মিরপুর উপজেলা শহরে শ^শুর বাড়িতে বসবাস করছিলেন ও এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, বুধবার সকালে এলাঙ্গী ক্যাম্পের আইসি সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওলিয়ার রহমানের নিকট অসুস্থ জনিত কারনে ছুটির আবেদন করেন। তাকে ছুটি মঞ্জুরের কমান্ডিং সার্টিফিকেট (সিসি) দিয়ে চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়। পরে তাকে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে মাথা ব্যাথার ওষুধ দিয়ে সদর হাসপাতালে দুই দিনের জন্য বেড রেস্টে রাখেন।

এদিকে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি পালিয়ে যান। কোনো খোঁজ খবর না পেয়ে পুলিশ তার বাড়িতে খবর পাঠায়।

রাত ১২টার দিকে তিনি মিরপুর শহরে তার স্ত্রীর নিকট গিয়ে অসুস্থতার কথা জানান। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, কামাল হোসেন চিকিৎসার জন্য ছুটি চান। পরে আমাদের নিয়ম অনুযায়ী তাকে আর আই ওয়ানের নিকট পাঠানো হয়েছে। সেখানে তিনি ডাক্তার দেখালে তাকে বেড রেস্টে থাকতে বলেন। কিন্তু সে রাতে পালিয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বিষ পান নাকি অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছেন এটা তদন্তের পরে জানা যাবে।  

মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, কামাল হোসেন চিকিৎসার জন্য আসলে তাকে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। ডাক্তার জানান, খুব একটা সমস্যা নেই মাথায় একটু ব্যাথা আছে। দুইদিন বিশ্রাম নিয়ে ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবেন।
তাকে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বুধবার রাত সাড়ে আটটার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)