গ্রামেগঞ্জে মক্তব প্রতিষ্ঠা করুন: আল্লামা শফী

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:১৯ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:৩১

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফী গ্রামেগঞ্জে মক্তব প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘শহর, বন্দর ও গ্রামের প্রতিটি মহল্লায় মক্তব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এসব মক্তবের মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের আরবি শিক্ষা দিতে হবে। গ্রাম্য মক্তব হচ্ছে এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি। মক্তবের মাধ্যমেই এদেশের মুসলমানরা কোরআন হাদিস থেকে শিক্ষা নিয়েছে। কাজেই সর্বপ্রথম মক্তব প্রতিষ্ঠা ও মক্তবে পড়াশোনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’

শুক্রবার বিকালে শিবপুর উপজেলার আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইসলামপুর মাদরাসার দুই দিনব্যাপী ২৩ সালা দস্তারবন্দী জলসায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। জলসায় সভাপতিত্ব করেন মাদানীনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফয়জুল্লাহ সন্দিপী।

আহমদ শফী বলেন, ‘প্রতিটি মুসলমানকে কালেমার দাওয়াত নিয়ে কাজ করতে হবে। কালেমার দাওয়াতের মাধ্যমেই নামাজের কথা আসবে, আসবে মহান আল্লাহর হুকুমতের কথা।’ তিনি বলেন, ‘কালেমা পড়বেন, নামাজ কায়েম করবেন, সুরা-কেরাত, রুকু, সিজদা সহিহ শুদ্ধ করে নামাজ আদায় করতে হবে। এক ওয়াক্ত নামাজও কাজা করা যাবে না। এক ওয়াক্ত নামাজের জন্য দুই কোটি ৮৮ লাখ বছর দোজখের আগুনে জ্বলতে হবে।’

আল্লামা আহমদ শফী বলেন, ‘নিজের পরিবার থেকে প্রথমে নামাজ শুরু করতে হবে। শিশুদেরকে নামাজের আদেশ দিতে হবে। নামাজের জন্য তাদেরকে শাসন করতে হবে। নামাজের আদেশ ও শাসনের মাধ্যমে শিশুরা নামাজি হয়ে গড়ে উঠবে। নামাজ এমনভাবে আদায় করতে হবে যেন আল্লাহ নামাজিকে দেখেন এবং নামাজি যেন ভাবে তিনি আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন এবং তিনি যেন আল্লাহকে দেখেন। শুধু তাই নয়, পরকালকে সামনে রেখে নামাজ আদায় করতে হবে। আর এভাবে নামাজ আদায় করলেই ইমান মজবুত হবে। নামাজের প্রতি একাগ্রতা বাড়বে। ইসলামের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে নিজেকে প্রস্তুত করা যাবে। ’

এর আগে বেলা ১১টার দিকে আল্লামা আহমদ শফী চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টরযোগে শিবপুরের ইসলামপুর গ্রামে পৌঁছলে স্থানীয় আলেম ওলামাসহ হাজার হাজার মানুষ তাঁকে স্বাগত জানায়।

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)