মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কার্যক্রম বন্ধ

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:২০ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:২৬

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বাছাই কমিটির সদস্য সচিব মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে কমিটির অন্য সদস্যরা অনাস্থা আনায় এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে অংশ নিতে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ছয়শ প্রার্থী আবেদন করেন। শনিবার প্রথম দিন ছিল উপজেলার মহেড়া, জামুর্কী ও ফতেপুর ইউনিয়নের আবেদনকারীদের সাক্ষাতের জন্য নির্ধারিত। কিন্ত সাত সদস্যের গঠিত বাছাই কমিটির অধিকাংশ সদস্য বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে শুক্রবার লিখিত অভিযোগ দেন।

বাছাই কমিটির সভাপতি হলেন একাব্বর হোসেন এমপি। অন্য সদস্যরা হলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস, সাবেক কমান্ডার খলিলুর রহমান, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্য অধ্যাপক আলী আকবর খান ডলার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রতিনিধি আব্দুর সাত্তার ভুইয়া ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাংগঠনিক কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান।

এদিকে তিন ইউনিয়নের আবেদন প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত দিন শনিবার সকালে যাচাই বাছাই কার্যক্রমে অংশ নিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মির্জাপুরে আসেন। তারা যাচাই বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে শুধু কমিটির সদস্য সচিব নির্বাহী অফিসারকে দেখতে পান। এসময় তারা জানতে পারেন কমিটির সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়ায় যাচাই বাছাই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সাক্ষাৎকার দিতে আসা অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের উফুল্কী গ্রামের আব্দুল লতিফ বলেন, শনিবার ভোরে ময়মনসিংহ থেকে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাছাই কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দিতে হাজির হয়েছি। কিন্তু এখানে এসে জানতে পারলাম আমাদের সাক্ষাৎকার হবে না।

বাছাই কমিটির সদস্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস ঢাকাটাইমসকে বলেন, সদস্য সচিবের প্রতি আমাদের আস্থা না থাকায় আমরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অনাস্থার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত দিনে শনিবার যথাসময়ে আমি উপস্থিত ছিলাম। কমিটির অন্য সদস্যরা না আসায় কোরাম সংকট হওয়ায় বাছাই কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

(ঢাকটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)