এমপিকে ওবায়দুল কাদেরের চড়-ঘুষি

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৯:০৭ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:২২

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হাতে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনের লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত নয়টার দিকে টাঙ্গাইলের যমুনা রিসোর্টের পদ্মা রেস্ট হাউসে লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, রাজশাহীতে কর্মীসভা শেষে ঢাকায় ফেরার পথে যমুনা রিসোর্টে যাত্রাবিরতি করেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে তাকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সাংসদ ছানোয়ার হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের সাধারণ সম্পাদকের জন্য রাতের খাবারের আয়োজন করেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সাংসদ হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী। কিন্তু ওই সময় তিনি উপস্থিত না থাকায় ওবায়দুল কাদের নেতাদের কাছে কারণ জানতে চান। তিনি বলেন, সোহেল হাজারী দাওয়াত দিয়ে নিজেই কেন উপস্থিত নেই। তখন সদর আসনের এমপি ছানোয়ার সোহেল হাজারীর পক্ষ নিয়ে কথা বলায় মন্ত্রী উত্তেজিত হয়ে যান।

কাদের ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘সে এক টাউট, তুমি এক টাউট। টাউটে টাউটের পক্ষে উকালতি শুরু করছে।’ এ কথা বলেই সাংসদ ছানোয়ারের ওপর চড়াও হয়ে তাকে তিনটি চড় ও ঘুষি দেন কাদের। রিসোর্টের গেট পর্যন্ত যাওয়ার পর দলীয় নেতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোহেরুল ইসলাম জোয়াহের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের শাসন করতেই পারেন। ঘটনার পর দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে তিনি ঢাকায় চলে গেছেন।’

এ ব্যাপারে সাংসদ ছানোয়ারের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করার অপরাধে বলরাম দাস নামে ট্রেনের এক কর্মচারীকে থাপ্পড় মেরেছিলেন ওবায়দুল কাদের।

এছাড়া ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট নিয়ম ভাঙার জন্য ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে কান ধরিয়ে উঠবস করান তিনি। গণমাধ্যমে এসব সংবাদ প্রকাশিত হলে নানা সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। এবার নিজ দলীয় সাংসদকে চড়-থাপড় মেরে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/এমআর)