‘শিল্পোদ্যোক্তারা জ্বালানি সংকটে ভুগছেন’

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৯:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শিল্প উদ্যোক্তারা জ্বালানি সংকটে ভুগছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান।

রবিবার পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে এক বৈঠকে আবুল কাসেম খান এ কথা বলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হয়।

আবুল কাসেম খান বলেন, ‘আমাদের দেশের উৎপাদন খাতের উদ্যোক্তারা জ্বালানি সংকটে ভুগছে, এ থেকে মুক্তি পেতে বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণ, স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে এলএনজি’র ব্যবহার এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে কয়লা নীতির দ্রুত চূড়ান্তকরণ, দেশীয় কয়লা উত্তোলন ও এর ব্যবহার নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’

এসময় ডিসিসিআইর সভাপতি ঢাকা-চট্রগ্রাম ইকোনোমিক করিডোর কার্যকর করার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবি জানান।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে এবং শিল্প-কারখানার পাশাপাশি বসত বাড়িতে চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা যাবে, যার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দেশি বিনিয়োগের পাশপাশি বিদেশি বিনিয়োগকেও উৎসাহিত করছে।’

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, বর্তমান অর্থবছরে প্রাক্কলিত জিডিপি’র হার সাত দশমিক দুই শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে এবং সেটি সাত দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত অর্জিত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, অর্থবছরের এ সময়কাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে।

রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) কাছাকাছি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)শিল্পনগরী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বিকাশের লক্ষ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং ইপিজেড এলাকার কাছাকাছি বিসিক শিল্পনগরী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি যত্রতত্র শিল্প-কারখানা স্থাপন না করে, বিশেষায়িত শিল্প এলাকায় কল-কারখানা স্থাপনের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক আকবর হাকিম, হুমায়ুন রশিদ, ইমরান আহমেদ, খ. আতিক-ই-রাব্বানী, এফসিএ, কে এম এন মঞ্জুরুল হক, আলাউদ্দিন মালিক, রিয়াদ হোসেন এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/জেআর/জেবি)