২১ ফেব্রুয়ারি যেভাবে উদযাপিত হয় পাকিস্তানে

২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ব জুড়েই ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর গুলি চালায় পুলিশবাহিনী। সেই পাকিস্তান কি এই দিনটি কিভাবে পালন করে, সেই বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

করাচির সাংবাদিক মনির আহমেদ জানান, কাগজে কলমে ভালোভাবেই ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয় পাকিস্তানে। করাচি, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মত শহরে ঘটা করেই পালন করা হয়। কিছু সেমিনার হয়, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু আলোচনাও হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রভাত ফেরীর আয়োজনও দেখা যায়।

এবছর ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি সাহিত্য উৎসব হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু কেন ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়, কী ঘটেছিল ১৯৫২ সালের সেই দিনটিতে, সে ব্যাপারে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বচ্ছ ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের ওই সাংবাদিক।

দেশটির পাঠ্যক্রমেও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পূর্ণ ইতিহাসের অনুপস্থিতি রয়েছে  বলে উল্লেখ করেন মনির আহমেদ। বহু জাতিগোষ্ঠীর দেশ পাকিস্তানে ৬৫ থেকে ৭২টির মতো ভাষার চর্চা রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে সবগুলো ভাষার সঠিক চর্চা এবং সব গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ নেই।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একটি মিছিল করেন লাহোরের বাসিন্দারা। সেখানে তারা পাঞ্জাবি ভাষাকে গুরুত্ব দেবার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/জেএস)