বরিশালে ছাত্রী ধর্ষণ: গৃহশিক্ষকের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:১২

বরিশাল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বরিশালের গৌরনদীতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্র্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার এক গৃহশিক্ষককে পৃথকভাবে ১৪ বছর এবং যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সাজাপ্রাপ্ত আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আবু তাহের। 

সাজাপ্রাপ্ত সাইদুল সরদার গৌরনদীর উত্তর গেরাকুল গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে।

আদালতের বেঞ্চসহকারী আজিবর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, ভিকটিম গৌরনদীর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। সাইদুল ওই ছাত্রীর বাসায় গৃহশিক্ষক হিসেবে থাকতেন। সেই সুযোগে বিভিন্নভাবে ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন সাইদুল।

এতে রাজি না হওয়ায় ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই মায়ের অসুস্থতার মিথ্যা সংবাদ দিয়ে ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে আসেন গৃহশিক্ষক সাইদুল। তাকে বাসায় না নিয়ে অপহরণ করে সাইদুলের মামার বাসায় নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

পরে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে অপহরণের ঘটনা জানতে পেরে সাইদুলের মামার কাছে পরিবারের স্বজনরা মেয়েকে ফেরত চায়। তিনদিন পরে ওই ছাত্রীকে ঢাকা সদর ঘাট থেকে উদ্ধার হয়।

এই ঘটনায় ২১ জুলাই অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন তার চাচা শহীদুল ইসলাম। একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন গৌরনদী থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী বিধান আবীদ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর সশ্রম কারাদ- ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর ও ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন বছরের দ-াদেশ দিয়েছেন বিচারক।

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)