চাঁদাবাজি: রংপুরে ব্যবসায়ী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, দোকানে আগুন

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০১৭, ১৯:০৪ | আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭, ২২:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। আগুন দেয়া হয়েছে বেশ কিছু দোকানে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে।

এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি স্থগিত করেছে। পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটি। 

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পার্কের সামনে সংঘর্ষ বাধে। এরপর বেশ কিছু সময় ধরে চলে উত্তেজনা।  

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান শিথিল স্থানীয় কনফেকশনারি ব্যবসায়ী লাভলুর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সকাল ১০ টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভাঙচুর করে। এর প্রতিবাদে  বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন ব্যবসায়ীরা।

এই সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা করে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, তাদের বক্তব্য চলাকালে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে হামলায় হয়। ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধ করলে বাধে সংঘর্ষ। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছিল। এক পর্যায়ে বেশ কিছু দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

ঘটনাস্থল থেকে ঢাকাটাইমসের রংপুর প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম যখন মোবাইল ফোনে সংবাদ দিচ্ছিলেন তখন সেখানে চিৎকার-চেচামেচি শোনা যায়। তিনি জানান, তখনও সেখানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছিল। এক পক্ষ অপর পক্ষকে উদ্দেশ্য করে ধর ধর বলে চিৎকার করছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ টি এম জাহিদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স পৌঁছছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।’

রংপুরে সংঘর্ষের এই খবর ঢাকায় পৌঁছার পর পর ব্যবস্থা নেয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বাতিল করা হয় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতের বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কার্যক্রম মেনে নেয়া হবে না। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/আরআই/ইএস/ডব্লিউবি)