সিনিয়র সহকারী সচিবসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০১৭, ২২:৪১

বরিশাল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বরিশালে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাজিমউর রহমানসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

রবিবার বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সঞ্জয় চন্দ্র।

মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন- মেহেন্দীগঞ্জের সাবেক ইউএনও ও বর্তমান অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাজিমউর রহমান, বরিশালের সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ, মেহেন্দীগঞ্জের সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলার চিলমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইয়েদা পারভীন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মন্নান হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক গোপালী রানী ও রেশমা আক্তার,উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার আলী আহম্মাদ খান ও গোলাম রহমান এবং মনিরুল হক, উত্তর রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়া, সহকারী শিক্ষক সুবর্না আক্তার ও কাওসার হোসেন, দক্ষিণ আন্দার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেদোয়ান করীম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক খাদিজা বেগম ও রোকসানা বেগম, দক্ষিণ ভংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খোকন খান, সহকারী শিক্ষক আকতার হোসেন ও আহসান হাবীব, দক্ষিণ ঘোড়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা রুস্তম আলী, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল বেপারী, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও জাকিয়া বেগম, দক্ষিণ সুলতানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউছুব তালুকদার, সহকারী শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম ও সামসুন নাহার, মধ্য আন্দারমানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদা বেগম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আফছার উদ্দিন হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান ও রাহিমা বেগম, পশ্চিম দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সহকারী শিক্ষক নাছরিন ও কল্যানী দেবনাথ, উত্তর আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাবুল সিকদার, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম ও শাবনীন জাহানসহ আরো অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে ২০০৯ সালের ১০ জুনের আগে রেজিস্ট্রেড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং ২০০৯ সালের ৩০ জুলাইয়ের আগে কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নন এমপিওভুক্ত নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মরত শিক্ষকের তথ্য চাওয়া হয়। ২০১৫ সালের ৬ জুলাইয়ের মধ্যে তথ্য দাবি করা হলেও অভিযুক্ত পুতুল রানী ৯ আগস্ট অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষকদের নাম দিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরে তথ্য পাঠান। অধিদপ্তরে যাদের তথ্য পাঠান হয় তারা কেউই নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন না। বর্তমানেও নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত নন। অভিযুক্তরা পরস্পর যোগশাজসে জন প্রতি ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ করে টাকা নিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক না থাকলেও তাদের শিক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত দেখিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরে তথ্য দেন। এতে তারা প্রায় কোটি টাকার মত দুর্নীতির মাধ্যমে আতœসাত করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ দায়েরের পর আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহলের জন্য মামলাটি দুদকে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

(ঢাকাটাইমস/০৫মার্চ/প্রতিনিধি/ইএস)