ছয় মাসেই উত্তরায় বিজিএমইএর নতুন কার্যালয়

প্রকাশ | ১২ মার্চ ২০১৭, ১৬:০৮ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৭, ১৭:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে কার্যালয় সরিয়ে উত্তরায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে ছয় মাসের মধ্যে কার্যালয় সরাতে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান তিনি। রবিবার আদালতের আদেশের পরপর বিজিএমইএ কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিজিএমএই সভাপতি।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সব সময় আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যত দ্রুত সম্ভব আমরা আমাদের কার্যালয় সরিয়ে উত্তরায় চলে যাব।’

আদালতের আদেশের পর হাতিরঝিল এলাকা থেকে ভবন না সরালে দেশে-বিদেশে ইমেজ সংকট তৈরি হবে জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘তাই যত দ্রুত চলে যাব, ইমেজ সংকট থেকে বেঁচে যাব। বিজিএমইএ নতুন কার্যালয় হবে উত্তরায়।’

সর্বোচ্চ আদালতে রিভিউ খারিজ হওয়ার পর বিজিএমইএ হাতিরঝিল এলাকা থেকে কার্যালয় সরাতে তিন বছর সময় চেয়েছিল। ছয় মাস সময় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

এই অল্প সময়ে উত্তরায় নিজেদের কার‌্যালয় কীভাবে হবে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যেই আমরা উত্তরায় যাব। কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।’

কার্যালয় অন্যত্র সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে বিজিএমইএর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

জমির মালিকানা না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করে হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভবনটি ভেঙে ফেলতে রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ ভবনটি ভেঙে ফেলতে হাইকোর্টের দেওয়া ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর ওই বছর ২১ মে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল করে।

গত বছরের ২ জুন বিজিএমইএর করা আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ। হাইকোর্টের রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার কথা বলা হয়। গত বছরের ৮ নভেম্বর বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়।

পরে রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দিয়ে আদালত অফিস অন্যত্র স্থানান্তরে কদিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে আবেদন করতে বলেছিলেন। তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ। এই আবেদনের ওপর আজ শুনানি নিয়ে ছয় মাস সময় দেন আদালত।

(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/মোআ)