এবার জামালপুর সীমান্তে সুরঙ্গের সন্ধান

প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০১৭, ১৮:১৮ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৭, ১৮:৫৩

দুলাল হোসেন, জামালপুর

শেরপুর সীমান্তের পর এবার জামালপুর সীমান্তে পাওয়া গেলো সুরঙ্গ। জেলার বকশীগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক ১০৮৯ নং পিলারের কাছে বিশালাকারের এই সুড়ঙ্গটি খুঁজে পেয়েছে  সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এই সুরঙ্গ ব্যবহার করে পাচারকারীরা অস্ত্র বা অন্য কিছু চোরাচালালান করতো বলে ধারণা করছে তারা।

বৃহস্পতিবার বিজিবির জোয়ানরা টহল দেয়ার সময় সুরঙ্গগুলো নজরে আসে বলে জানিয়েছে বিজিবির একটি সূত্র। সঙ্গে সঙ্গে বিজিবি জওয়ানরা বিষয়টি সদরদপ্তরে জানান। আর বিজিবি ২৭ ব্যাটালিয়ানের ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল আনিছুর রহমান শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  তিনি ঢাকাটাইমসকে এই তথ্য পরে নিশ্চিত করেন।
বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, সুরঙ্গের এ পার জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের দিঘলাকোনা এলাকা। আর ভারতীয় সীমান্ত গেট পার হয়ে গেছে অপরপ্রান্তরে। এই সুরঙ্গটি তেমন একটা চওড়া নয়। হামাগুড়ি দিয়ে একজনের পক্ষেই একবারে যাতায়াত করা সম্ভব।

স্থানীয় একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় অংশ থেকে কাঁটাতারের বেড়ার নীচ দিয়ে খনন করা প্রায় ২০ মিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে অনায়াসে ভারত-বাংলাদেশে আসা যাওয়া করা যায়।

ভারতীয় অংশে বিশাল এই সুড়ঙ্গ পথটি করার সময় সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরে আসেনি। এই ঘটনায় বিজিবি কর্নজোড়া বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার নুরুল হোসেন শনিবার  বকশীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।

এই সুরঙ্গপথ খননের বিষয়টি ওইদিনই  বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে এক পতাকা বৈঠক হয়। তবে এই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি কোনো পক্ষ।

বিজিবি ২৭ ব্যাটিলিয়ন শেরপুরের অধিনায়ক লে. কর্নেল আনিছুর রহমান সোমবার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সুড়ঙ্গটি ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে করা হয়েছে। এই সুড়ঙ্গটি কীভাবে করা হয়েছে বা কেন করা হয়েছে, বিজিবি ও বিএসএফ তা খতিয়ে দেখছে।’

সম্প্রতি ভারতের মেঘালয় রাজ্য এবং বাংলাদেশের শেরপুর সীমান্তের মধ্যে সুরঙ্গের সন্ধান পায় বিজিবি। গত ৯ মার্চ বিবিসি বাংলা এই সংবাদ প্রচার করে। ওই সুরঙ্গটি পুরোপুরি খোঁড়া শেষ করতে পারেনি এর সঙ্গে জড়িতরা। বিএসএফ জানিয়েছে, তাদের টহলে ধরা পড়া পর্যন্ত আনুমানিক ৫০ ফুটের মতো দীর্ঘ ছিল।

যতটা খোঁড়া হয়েছিল ওই সুরঙ্গটি, সেটি আনুমানিক তিন ফুটের মতো চওড়া এবং এটি দিয়ে একজন মানুষ হামাগুড়ি দিয়ে চলতে পারতো বলে জানিয়েছেন বিএসএফ কর্মকর্তারা।

ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি