পর্যটক টানছে ময়মনসিংহ চিড়িয়াখানা

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০১৭, ১০:০৩

মনোনেশ দাস, ময়মনসিংহ

ব্রহ্মপুত্র নদের উপর সোনালী রোদ।মধুর ঝংকার মৃদু সুহাসিনী। মাদলের বোল। বাতাসে মহুয়ার ঝিম। মানুষের কলরোল। মাঝে পালতোলা নৌকা। স্বচ্ছ পানি। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। পাখিদের ক্লান্ত উড়াউড়ি।

ময়মনসিংহে ট্যুরে এসে ইচ্ছে হলে শহরের ব্রহ্মপুত্র নদ তীরে ‘শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান’ পার্কে ওয়াইফাই সুবিধা সংবলিত দুটি মঞ্চ, দুটি ফোয়রা, বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় পাঁচ হাজার গাছের দৃষ্টিনন্দন বাগান, ছোট চিড়িয়াখানা, শরীরচর্চা, শিশু বিনোদন কেন্দ্র দেখারও সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকরা।

২০১৪ সালের এপ্রিলে চালু হওয়া এই স্থানটিতে আছে পর্যাপ্ত হাটার জায়গা এবং মহিলাদের নামাজের স্থান। সবুজ বনানীর ক্যানভাসে মনোরম নদের দৃশ্য শুধু উৎসবের মৌসুমেই নয়, সারা বছরের ট্যুর।

রাজধানী ঢাকা থেকে আড়াই তিন ঘণ্টার দূরত্বে নিরিবিলিতে ছুটি কাটাতে এ পার্ক ও চিড়িয়াখানার জুড়ি নেই। চিড়িয়াখানায় আছে, উট পাখি, হরিণ, কালো ভাল্লুক, কুমির, সজারু, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, বন মোরগ, কালেম পাখি, ময়না, টিয়া, কাকাতুয়া, ঈগল, চিল, মুনিয়া, সারস, কানিবক প্রভৃতি।

ভ্যালেন্টাইন ডে, বাংলা নববর্ষ, ইংরেজি নববর্ষ, ঈদ ছুটিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিনে পার্কটিতে থাকে জনারণ্য। হাজার হাজার মানুষের ভিড়। ময়মনসিংহ শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের উপকণ্ঠের এ পার্কে গত এক দশক ধরে লোকজনের সংখ্যা বেড়েছে অতীতের তুলনায় কমপক্ষে দশ গুণ।

বছরজুড়ে পাঠ্য বইয়ে মুখ গুঁজে থাকা শিশুরা এখন এ পার্কের চিড়িয়াখানায় ছুটে ফিরছে উচ্ছ্বাসে। বাদ যাচ্ছেন না তাদের বাবা-মাও।

জানা গেছে, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু পৌরবাসীর প্রত্যাশা ও জনস্বার্থ বিবেচনায় জয়নুল উদ্যান পার্কটিতে দৃষ্টিনন্দন ও সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা. বৈশাখী মঞ্চ এ পার্কটির বৈশিষ্ট।

সার্কিট হাউজ সংলগ্ন পার্কটিতে প্রতিদিন সকাল-বিকাল হাজার হাজার মানুষ অবকাশ যাপন, চিত্তবিনোদন ও সময় কাটানোর জন্য আসেন। লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কেটে চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন পশু-পাখির সঙ্গে নিজের সন্তানদের পরিচিত করে তুলতে সবাই ছুটছেন জয়নুল উদ্যানে।

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/ব্যুরো প্রধান/এলএ)