বাড়ছে ট্রাম্প-মের্কেল দ্বন্দ্ব

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০১৭, ১৬:২৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মার্কিন প্রেসিডেন্টের মসনদে বসার আগে থেকেই দু’জনের সম্পর্ক তেমন সুখের নয়। কারণ জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের শরণার্থী নীতির সমালোচনা ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার।

গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে দু’জনের বৈঠকও ভালোভাবে শেষ হয়নি। ওভাল অফিসে পাশাপাশি বসে দুই রাষ্ট্রপ্রধান একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেননি কেন, তা নিয়েও গণমাধ্যমে বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে। তারই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি টুইট দু’দেশের সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘ন্যাটোর কাছে প্রচুর অর্থ ঋণ রয়েছে জার্মানির।’ একই সঙ্গে তার বক্তব্য, নিরাপত্তা খাতে আমেরিকাকে আরও বেশি খরচ দেয়া উচিত জার্মানির।

গত শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনেও প্রায় একই সুরে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। নিজের বিবৃতির ছত্রে ছত্রে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ন্যাটো বাহিনী চালাতে যুক্তরাষ্ট্রকে কতটা বেশি ‘অর্থের বোঝা’ বইতে হচ্ছে। তখনই তিনি দাবি করেছিলেন, মিত্র দেশগুলির উচিত অবিলম্বে নিরাপত্তা খাতে খরচের পরিমাণ আরও অনেকটা বাড়ানো।

মের্কেল অবশ্য জানিয়েছিলেন ২০১৪ সালেই জিডিপির দুই শতাংশ সামরিক খাতে ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। ট্রাম্পের গতকালের টুইট বোমার উত্তরে অবশ্য এখনও মুখ খোলেননি জার্মান চ্যান্সেলর।

তবে মুখ খুলেছেন ন্যাটোর প্রাক্তন মার্কিন দূত ইভো ডালডের। তার টুইট, দুঃখিত প্রেসিডেন্ট, ন্যাটো সদস্যরা এভাবে কাজ করে না। ন্যাটো কোনো আর্থিক লেনদেনের জায়গা নয়।’

এই পরিস্থিতিতে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানির সম্পর্কের শীতলতা নিয়ে গোটা বিশ্বেই আলোচনা শুরু হয়েছে।

শুক্রবারের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বুঝেই হয়তো এ নিয়ে টুইট করেছেন ট্রাম্প।

তিনি লিখেছেন, ‘এটা বলতেই হয় যে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে আমার বৈঠকটা দারুণ ছিল!’

তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভিজছে না। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে দু’জনের বিবৃতিতেই যথেষ্ট ফারাক ছিল। তার উপর যোগ হয়েছে করমর্দন বিতর্ক।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে প্রবেশের সময় দু’দেশের প্রধান হাত মিলিয়েছিলেন। কিন্তু ওভাল হাউসে যখন দু’জন পাশাপাশি বসেন, তখন মের্কেল আরও একবার করমর্দনের কথা বলেছিলেন, যাতে নাকি আমলই দেননি ট্রাম্প। এ নিয়ে সমালোচনার জেরে জার্মানির গণমাধ্যমকে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে হোয়াইট হাউস।

জার্মানির সাপ্তাহিক পত্রিকা দের স্পাইগেলকে ট্রাম্পের মুখপাত্র শন স্পাইসার বলেছেন,  ‘আমার মনে হয়, করমর্দনের আবেদন প্রেসিডেন্ট শুনতেই পাননি। শুনলে মের্কেলকে ফেরাতেন না তিনি।’

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এসআই)