মুক্তাগাছায় কুল চাষে ভাগ্য বদল

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০১৭, ০৮:০৫

মনোনেশ দাস, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় আমোদপুর গ্রামের ক্ষুদ্র চাষি আজাহার উদ্দিন। জীবনের অর্ধেকটা সময় পেরিয়ে কুল চাষ করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। আর্থিক স্বচ্ছলতা তাকে এনে দিয়েছে ব্যাপক পরিচিতি।

আজাহার বাড়ির পাশে এক একর জমিতে ১শ’টি কুল গাছ বাডিং এর মাধ্যমে উন্নত জাতে পরিণত করেন। বিগত এক যুগ ধরে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

আজাহার কুল বাগানে সাথী ফসল হিসেবে হলুদ, আদা, মূলা প্রভৃতি ফসলও চাষ করছেন। আজাহারের সাফল্যে একই গ্রামের চাষি মুছলেম উদ্দিন, আবুল কাশেম, আ. হাই, কলম আলীসহ আরও অনেকে আজাহার উদ্দিনের বাগান থেকে কুল সংগ্রহ করে ২০ একর জমিতে বাগান আকারে হাজার হাজার অনুন্নত কুল গাছ উন্নত কুল গাছে পরিণত করেছেন।

একইভাবে উপজেলার গাবতলী, চেচুয়া, পদুরবাড়ি, ঘোগা, দাওগাঁওসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছে গাছে উন্নত জাতের কুল আর কুল। কুল কিনতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে মুক্তাগাছায় আসছে শ’ শ’ পাইকার।

কৃষকরা জানান, গাবতলী, চেচুয়া, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বসানো হচ্ছে কুলের বাজার।

কুলের ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় বলে প্রতিবছরই বাড়ছে কুল চাষ। কৃষকের আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কুল চাষ ভাগ্য বদলে দিচ্ছে চাষিদের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার জানান, কুলের রোগ বালাই প্রতিকার বিষয়ক ধারণা প্রদান করা হয় কৃষকদের।

(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/ব্যুরো প্রধান/এলএ)