মুফতি হান্নানের সময় সাত দিন

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৪:২৮ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৪:৫৩

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগী রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে সাত দিন সময় পাবেন। এ কথা জানিয়েছে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন জানিয়েছেন, এই দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে বুধবার থেকেই।

বৃহস্পতিবার কাশিমপুর কারাগারে ৪৯ তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কারা মহাপরিদর্শক।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজের রায়টি বুধবার মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগীকে শুনিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে দুই জন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে এবং একজন আছেন সিলেট কারাগারে।

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দী মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী বিপুলকে বুধবার সকালে তাদের মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়। পরে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন বলে জানান। সিলেট কারগারে বন্দী হান্নানের আরেক সহযোগী রিপনও ক্ষমা চাইবেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

আইন অনুযায়ী, কারও মৃত্যুদণ্ডের রায় হলে রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি ক্ষমতা প্রার্থনা করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি তার দ- মওকুফ বা কমাতে পারেন। গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রপতি বেশ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড মওকুফের আবেদন মঞ্জুরও করেছেন। তবে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এই আবেদন করলেও তা তিনি গ্রহণ করেননি।

কারা মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন, মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সব ধরনের প্রস্তুতিই আছে তাদের। এখন নির্বাহী আদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত।

এরপর রায় অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।

২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত এই দণ্ড বহাল রাখে। পরে ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর এই আবেদন খারিজ হয়ে গেছে ১৭ জানুয়ারি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করা হয়। ১৯ মার্চ রোববার রিভিউ খারিজ হয়ে যায়। পরে রিভিউ খারিজের রায় মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।

এই মামলা ছাড়াও যশোরে উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলা, ঢাকার রমনা বটমূলে বোমা হামলা, আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলারও আসামি মুফতি হান্নান। এসব হামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি