খানসামায় জনপ্রিয় হচ্ছে তেজপাতা চাষ

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৭, ১৮:২২

শাহ্ আলম শাহী, ঢাকাটাইমস

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। তেজপাতা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন এলাকার কৃষকরা। একজনের সফলতা দেখে আরেকজন আগ্রহী হচ্ছেন তেজপাতা চাষে। অন্য ফসলের তুলনায় তেজপাতা চাষে সার ও কীটনাশক খরচ কম বলে এ মশলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে কৃষকরা জানান।

তেজপাতার বাগান করছেন দিনাজপুর খানসামা উপজেলায় ৩নং আংগারপাড়া গ্রাম পাকের হাটের রকিবুল হোসেন নামে এক কৃষক। ৬০ শতাংশ জমির ওপরে ৪০০টি চারা রোপন করেছেন তিনি। যার মূল্য প্রতি চারা ১৫০ টাকা হিসাবে ৬০ হাজার টাকা। ঢাকাটাইমসকে তিনি জানান, এই জমিতে সাথীফসল হিসাবে গত বছর ৪০ হাজার টাকার ধনিয়া পাতা ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকার বিক্রি করেছেন। আর তেজপাতা দুইবার ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করেন। তার এই আবাদে লাভ দেখে আর এক কৃষক লুৎফর রহমান তিনি ১০ শতাংশ জমিতে ১৪০টি ‘তেজপাতা চারা লাগান।

এছাড়াও ৪নং খামার পাড়া ইউপির গ্রাম ডাঙ্গাপাড়া আদিবাসী সাঁওতাল শিরিল মুর্মু ইউপির কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলীর সহোযোগিতায় ৭৫ শতাংশ জমিতে ২১৭টি চারা লাগান। এই দুই বছরে তেজপাতা বিক্রি করে প্রায় ৪০ হাজার টাকারও বেশি লাভ করেছেন। এই আবাদে খরচ কম, লাভও হয়  বেশি। প্রথম দিকে এলাকার কৃষক এই আবাদকে প্রাধান্য দিত না। এই দুই বছরে কৃষক তেজপাতার আবাদ করার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। এ আবাদে পরিশ্রম, খরচ, সার, কীটনাশক খরচ কম, রোগবালাই খুবই কম।

মজনু মিয়া একজন কৃষক ঢাকাটাইমসকে বলেন তেজপাতা আবাদ করা খুবই সহজ। অন্য আবাদের মতো ব্যয়বহুল নয়। ইতিমধ্যে পাঁচপীর আদিবাসী পাড়ায় পিয়ন মুর্মু ৪০ শতাংশ জমিতে ২১৭টি  তেজপাতা চারা গাছ লাগিয়েছে বলে তিনি জানান।

৪নং খামার পাড়া ইউপির গ্রাম বালাপাড়া আইজার শাহ নামে কৃষক এই আবাদ দেখে ১০শতাংশ জমিতে ২০০টা চারা রোপণ করেন। এভাবেই এক কৃষকের সফলতা দেখে অন্যরাও তেজপাতা চাষ করে আশানুরূপ লাভের টাকা ঘরে তুলছেন।

এব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা এজামুল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, তেজপাতা মশলা জাতীয় ফসল। যার চাহিদা বছরের সব মাসেই থাকে। নিয়মমাফিক তেজপাতা চাষ করলে চাষি অনেক বেশি লাভবান হতে পারে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, তেজপাতা চাষে অন্য ফসল আবাদের তুলনায় পরিশ্রম কম, খরচ, কম, সেচ, কীটনাশক খরচও কম। তেজপাতা সম্পর্কে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে সচেতনতাও প্রচার করলে  তেজপাতা আবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান।
 
(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এসএএস/ইএস)