যাদুকাটায় গঙ্গাস্নানের সময় নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভক্তরা

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৭, ১৮:৫৪

আমিনুল ইসলাম, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে যাদুকাটা নদীতে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে গঙ্গাস্নানের সময় নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তদের মাঝে। কারণ, হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠন গঙ্গাস্নানের বিভিন্ন সময় ঘোষণা করেছে।

শনিবার যাদুকাটা নদীতে এ স্নান শুরু হবে।

শ্রী অদ্বৈত জন্মধাম পরিচালনা কমিটির দাওযাতপত্রে দেখা যায়, শনিবার রাত ১১টা ৩৯ মিনিট ১১ সেকেন্ড থেকে রবিবার সকাল ১১টা ১৩ মিনিট ৫১ সেকেন্ড, শ্রী শ্রী রাধা মদন গোপাল জিউর মন্দির (ইসকন) রাত ১২টা ৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ড হতে রবিবার ১১টা ১৩ মিনিট ৫১ সেকেন্ড ও শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের পুন্যার্থী সৎসঙ্গ প্রার্থনাকেন্দ্র বিকাল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে রবিবার ১১টা ১৩ মিনিট ৫১ সেকেন্ড।

একই সময়ে একই নদীতে তিন সময়ে স্নানের যুগকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংঘের লোকজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সনাতন ধর্মাবলম্বী অনেকেই বলেন, বিভিন্ন সংঘের প্রচারপত্রে বিভিন্ন সময় উল্লেখ থাকায় অনেক হিন্দু ধর্মপ্রাণ দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন স্নানের সময় নিয়ে।

শ্রী শ্রী অনুকুল ঠাকুর সৎসঙ্গ মতাদর্শী আনোয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, আমি শ্রীশ্রী অনুকুল ঠাকুরের মতাদর্শী। শনিবার বিকাল ৩টা থেকেই আমাদের স্নান শুরু।

শ্রী শ্রী রাধা মদন গোপাল জিউর মন্দির পনাতীর্থ স্মৃতিধাম (ইসকন মন্দির) মতাদর্শী হারান চন্দ বিশ্বাস বলেন, ইসকন মতাদর্শীরা তাদের যুগ মতেই যাদুকাটা নদীতে গঙ্গাস্নান করবেন।

শ্রী শ্রী রাধা মদন গোপাল জিউর মন্দির গড়কাটি (ইসকন)-এর সেবায়েত শ্রী ভক্তপ্রিয় কৃষ্ণদাস ব্রম্মচারী বলেন, তাদের প্রচারপত্রে স্নানের যে সময়সূচি উল্লেখ আছে- তাই সঠিক।

শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের পন্যার্থী সৎসঙ্গ প্রার্থনাকেন্দ্র নবগ্রামের সভাপতি বিষ্ণুপদ দে জানান, লোকনাথ পঞ্জিকা দেখে তারা প্রচারপত্রে সঠিক সময়সূচি উল্লেখ করেছেন।

শ্রী অদ্বৈত জন্মধাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, অদ্বৈত জন্মধাম পরিচালনা কমিটি যে সময়ে স্নানের সময়সূচি দিয়েছে সেটাই প্রকৃত সময়।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)